টেকি-পঞ্চপান্ডবদের স্তনক্যান্সার সনাক্তের পরিধেয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন

স্তন ক্যান্সার শনাক্তের দেশী প্রযুক্তি পরীক্ষায় দরকার সরকারি সহায়তা

১০ মে, ২০২৫  
১০ মে, ২০২৫  
স্তন ক্যান্সার শনাক্তের দেশী প্রযুক্তি পরীক্ষায় দরকার সরকারি সহায়তা

এমআইটি, হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড ও ক্যালটেকসহ দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৪০টি দলেকে টপকে আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বুয়েট। পুরস্কার হিসেবে তারা পেয়েছে ৫ হাজার মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ টাকা। তবে এই টাকা এখনো তাদের হাতে পৌঁছেনি। তাই প্রযুক্তিটির বাস্তব প্রয়োগ সম্ভব হয়নি এখনো। তাই অর্থায়নের দিকে তাকিয়ে আছেন বুয়েটের বিশ্বজয়ী তরুণ উদ্ভাবক দল 'নিওস্ক্রিনিক্স'। তবে জনস্বাস্থ্যের যুগান্তকরী পরিধেয় প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের জন্য নতুন মাইলফলক রচনা করতে যাচ্ছে দলটি।  

এরই মধ্যে মুঠোফোনে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে স্তন ক্যানসার শনাক্তের এআই ভিত্তিক বিশেষ একটি অ্যাপ বানিয়ে গণস্বাস্থ্যের উন্নয়নে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে দলটি। দলটির সব সদস্যই বুয়েট কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। বাংলা প্রযুক্তির এই পঞ্চপাণ্ডবেরা হলেন- ফাহমিদা সুলতানা, এইচ এম শাদমান, সাদাতুল ইসলাম, মো. হাসনাইন আদিল ও পৃথু আনান।  জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেশন অ্যান্ড ডিজাইনিং বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ‘ডিজিটাল হেলথ ট্র্যাক’ বিভাগে বাজিমাৎ করে তারা। আর এই কাজে তাদের তত্ত্বাবধান করেছেন বুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. সোহেল রহমান।  

'নিওস্ক্রিনিক্স' উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন নারী নিজেই ঘরে বসে স্তন ক্যানসারের সম্ভাব্যতা বা প্রাথমিক লক্ষণ যাচাই করতে পারবেন। আর এই পুরো বিষয়টি দলটির সদস্যরা অনলাইনে প্রতিযোগিতার বিচারকদের সামনে তুলে ধরেন গত ১২ এপ্রিল। সেদিনই অপ্রত্যাশিত ভাবে বিশ্বজয় করেন দেশের মাটিতে বসেই।  নিওস্ক্রিনিক্স দল জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা মাথায় রেখেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। আপাতত তারা দেশের গ্রামীণ নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে এবং প্রযুক্তিটিকে সহজলভ্য করার জন্য নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

সর্বশেষ গত ৯ মে এই উদ্ভাবন নিয়ে উদ্ভাকদল  'নিওস্ক্রিনিক্স' এর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. আবু জামিল ফয়সালের নেতৃত্বে ওই অনলাইন বৈঠকে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ এবং বায়োটেকনোলজিস্ট মোঃ মাহমুদ। সূতমতে, আগামী ১৫ মে আবারো বৈঠকে বসবেন তারা।   

এ নিয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস এর অসংক্রামক রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পলাশ চন্দ্র বণিক বলেছেন, উদ্ভাবনের কথা জেনে আমি অভিভূত। আসলে, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান গবেষণায় আমরা খুবই দুর্বল এবং তহবিলও প্রকট। তারা যে কাজ করেছে তার জন্য আরও সরকারি এবং বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন ছিল। তাদের ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা।

এখন বিজয়ী কী করছেন এবং বিশেষজ্ঞরাইবা কী ভাবছেন সেসব বিষয়ে অনলাইনে এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডিজিবাংলাটেকডটনিউজ নির্বাহী সম্পাদক এস এম ইমদাদুল হক। 

বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাকদের উদ্ভাবন বিষয়ে কয়েকটি রাখা হয় পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. আবু জামিল ফয়সাল এর কাছে। 

তিনি বললেন, ওদের এখন হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ কেনার বিনিয়োগ দরকার। একইসঙ্গে এআই এর ইথিক্যাল ব্যবহার এবং এটি বাস্তবায়নে সরকারি অংশীদারিত্বও প্রয়োজন। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাওয়ার পর আমরা এবং ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন পাইলট প্রকল্প শুরুতে তাদের পাশে থাকবো বলে মনস্থির করেছি। উদ্ভাবকদের সঙ্গে আলাপকালে বুঝতে পেরেছি, তাদের প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকার মতো লাগবে। অর্থাৎ প্রাথমিক ভাবে লাখ পাঁচেক টাকার বিনিয়োগ পেলে ওরা ভালো একটা কিছু করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। 

এই প্রযুক্তিতে কিভাবে স্তনক্যান্সার সনাক্ত হবে- প্রশ্নের জবাবে ড. আবু জামিল ফয়সাল বললেন, ইতিমধ্যেই ওরা একটি অ্যাপ বানিয়েছে। এখন যে হার্ডওয়্যারের প্রোটোটাইপটি প্রয়োগিক পর্যায়ে আনতে হবে। যন্ত্রটি দেখতে অনেকটা হ্যান্ডশাওয়ারের মতো। এটি দিয়ে একজন মেয়ে নিজে নিজে ছবি তুলবে। এই যন্ত্রেই এআই বিল্ড ইন করা। এই যন্ত্রটাই এলইডি লাইট প্রক্ষেপন করে শকড দিয়ে মেয়েদের স্তনের টিউমারের ছবি তুলবে। ব্রেস্টের ভেতরে কোনো চাকা আছে কিনা তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে। এভাবেই যন্ত্রটি এআই এর মাধ্যমে ব্রেস্ট এক্সমিন করে। শাওয়ারের মাথায় থাকা স্তনাকৃতির ফাঁপা অংশ দিয়ে এই ছবি তোলা হলেও স্তনের কোনো ছবি তোলে না। ভেতরের ছবি তুলে তা অ্যাপের মাধ্যমে রোগীকে চিকিৎসক দেখানোর বিষয়ে পরামর্শ দেবে। এজন্য উদ্ভাবকদের এখন টাকা দরকার। ডিভাইসটি বানানো পাশাপাশি তাদেরকে এখন এআইকেও ট্রেনিং দিতে হবে। তথ্যসুরক্ষার জন্য নিজস্ব সার্ভার লাগবে। আইনি জটিলতা এড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিশেষ করে ডিজিডিএ-কে পাশে থাকতে হবে। এছাড়াও মেয়েরা যেনো স্বেচ্ছায় এটি ব্যবহার করে সেই চ্যালেঞ্জটাও উত্তীর্ণ হতে হবে। বিশ্বে এই ধরনের পরিধেয় প্রযুক্তি নির্ভর ডিভাইস বিরল। যেগুলো আছে সেগুলো খুঁজে খুঁজে কিনে এনে পরীক্ষার সময় কম্পেয়ার ও উন্নয়নে আরো বেশি কিছু করা যায় কি না সেটাও দেখতে হবে। 

উদ্ভাবক দলের সঙ্গে আলাপের  ‍শুরুতেই প্রশ্ন করা হয়- মুঠোফোনের ছবি তুলে প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যানসার শনাক্ত করার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ধারণাটা কিভাবে এলো?

জাবাবে ফাহমিদা সুলতানা বললেন,  আমার নিকটাত্মীয় এর ক্যান্সার জার্নি থেকে প্রথম এই আইডিয়াটা মাথায় আসে। তার ক্যান্সার ধরা পড়ে তৃতীয় স্টেজে। তাকে সবসময় বলতে শুনেছি যদি আগে জানতে পারতাম। এরপর একটু ঘেঁটে জানতে পারি। প্রতিটি প্রাপ্তবয়ষ্ক নারীরই সেলফটেস্টিং করা উচিত। উন্নতদেশে এই ব্যাপারে সচেতনতা থাকলেও আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে অনেকেই এর সাথে পরিচিত নন। এরপর বন্ধুদের সাথে আইডিয়াটা শেয়ার করি এবং খুঁজতে থাকি কিভাবে খুব সহজে প্রাথমিক পর্যায়েই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ক্যান্সারের স্ক্রিনিং করা যায়। 

কীভাবে গড়ে উঠলো `নিওস্ক্রিনিক্স'? এই নামের মাহাত্মটা কি?

আমাদের প্রস্তাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন নারী স্তন ক্যান্সার এর শুরুর দিকে lump শনাক্ত (Screen)করতে পারে।এ theme এর সাথে মিল রেখে টীমের নামকরম করা হয়েছে NeoScreenix। 

প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ কি ছিলো? কীভাবে তা উত্তরণ করলেন?

প্রতিযোগিতায় আমাদের বিভাগ ছিল ডিজিটাল ট্র‍্যাক। এখানে আমাদেরকে পুরো প্রস্তাবনাটা উপস্থাপন করতে হয়। আমাদেরকে ওভারল feasible model এবং hardware এর পাইপলাইনটি নিয়ে তথ্য দিতে হয়। পাশাপাশি প্রস্তাবনাটিকে বিজনেস প্রোডাক্ট হিসেবে যাতে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেটা নিয়েও এনালাইসিস দেখাতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের একেকজন সদস্য একেক দিকে পারদর্শী। সবাই সবার ডোমেইন কে সাধ্যমতো integrate  করার চেষ্টা করেছে। পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার মাধ্যমে পুরো দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফাহমিদা। প্রযুক্তিটির উন্নয়নে হাসনাইন কাজ করেছেন ইউআই (ইউজার ইন্টারফেস) বা ফ্রন্টএন্ড নিয়ে। সাদি করেছেন ব্যাকএন্ড প্রোগ্রামিং। শাদমান যুক্ত করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। পৃথু তৈরি করেছেন স্ক্রিনিং যন্ত্র। এর বাইরে তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম এবং মেডিকেল ডেটা কালেকশন এবং ক্লিনিকাল নলেজ দিয়েরংপুর মেডিকেল কলেজের রিবাতুল ইসলাম। আর গবেষণা কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়েছেন বুয়েট কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রহমান।

আপনারা তো দেশে বসেই দ্য জনস হপকিনস সেন্টার ফর বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেশন অ্যান্ড ডিজাইনিং জয় করলেন। প্রতিযোগিতায় কাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেছিলেন। বিজয়ের পর বিশ্বের দুই শর বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৪০টি দলের সঙ্গে নিজেদের সবচেয়ে বড় শক্তি এবং দুর্বলতা কোনটি বলে মনে করেন?

সেভাবে কোনো দলকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে আগাইনি।নিজেদের সেরা টা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।বাকি সব ফাইনালিস্ট দল গুলোও ওদের চমৎকার আইডিয়া গুলো প্রেজেন্ট করেছে ফাইনালে।কিন্নতু দিনশেষে এত এত ভালোর মাঝেও যে সেরাদের সেরা হবো ভাবতেও পারিনি!

ছবি তুলে ক্যান্সার নির্ণয়ের এই প্রযুক্তিটির কি পাইলটিং হয়েছে? সেই ফলাফলটা একটু শেয়া করা যাবে?

এবার জবাব দিলেন এইচ এম শাদমান। বললেন, আমরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি ডিজিটাল ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে আমরা সফটওয়ার নির্ভর সলিউশন প্রপোজ করি। এর পাশাপাশি একটা কমপ্লিমেন্টারি ডিভাইস প্রপোজ করি। প্রেজেন্টেশনে আমরা আমাদের কমপ্লিট সফটওয়ার পাইপলাইনটা শো’কেইস করি এবং ডিভাইস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস তৈরির জন্য আমরা কিভাবে আগাবো সেই প্রস্তাবনা পেশ করি। তা দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিচারকেরা। তবে আমরা এখনো পাইল্টিং করি নাই। যথাযথ ফান্ডিং পেলে দ্রুততর সময়ে ডিভাইস পাইলটিং এ যেতে চাই। আমাদের সফটওয়ার পাইপলাইনটা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। 

পাইলট করতে কেমন খরচ হবে?

 আমাদের কস্ট গুলা এস্টিমেটেড এখনও। অ্যাপ লঞ্চিং রাউন্ডের জন্য প্রতিমাসে কমপক্ষে ৩৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। আর হার্ডওয়ার টার বিষয়ে এখনও এমাউন্ট ঠিক করা হয় নাই। 

এই প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা কিংবা আপনাদের ভবিষ্যত পনিকল্পনা কি?

বর্তমানে আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনাই হলো হার্ডওয়ার কিট কে fully develop করা। এজন্য অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক ফান্ডিং দরকার হবে।তারপরে ক্লিনিকাল টেস্ট সহ সব দিক বিবেচনায় এটি কে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ৭০ শতাংশ মানুষ ফিচার ফোন ব্যবহার করে তাদের কিভাবে আপনাদের প্রযুক্তি সঙ্গে যুক্ত করবেন?

আশা করি, এই হার্ডওয়ার কিটটি ডেভেলপ করা হলে এগুলা করা যাবে। আমাদের আসলে একটা বড় ব্যারিয়ার হলো হার্ড ওয়ার কিটের পাইলটিং এবং ওটা দিয়ে ডেটা নেওয়া।এটার জন্য ফান্ডিং পেলে দ্রুত হার্ড ওয়ার ডেভেলপ এবং পাইলটিং সব ই সম্ভব হবে

স্বাস্থ প্রযুক্তি গবেষণা ও উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনাকে কিভাবে মোকাবেলা করতে চান?

আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণায় নিযুক্ত আছি।এখানে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে গবেষণায় প্রণোদনার ঘাটতি।আর যেখানে আমাদের পুরো পরিকল্পনাতে হার্ডওয়ার,সফটওয়ার, AI এবিং বিপুল মানুষের অংশগ্রহণ দরকার হবে টেস্টিং এর জন্য,সমস্ত জিনিস বাস্তবায়ন করতে পর্যাপ্ত ফান্ডিং এবং সময় প্রয়োজন।তাই দেশীয় এবিং বিদেশী প্রণোদনা প্রতিষ্ঠান গুলো যদি প্রমিজিং ফান্ড দিয়ে আমাদের সাথে থাকে, আমরা অনেক দূর অবধি প্রজেক্টটা কে বাস্তবায়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।