নাহিদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন কে?

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। এখন এই শুন্যস্থানে কে দায়িত্ব নিচ্ছেন তা নিয়ে গুঞ্জন চলছে। শোনা যাচ্ছে ন বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার (সমন্বয় এবং সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে এই দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। অথবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা করা মাস্টারমাইন্ড খ্যাত মাহফুজ আলমকেও এই দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।
আবার এমনও শোনা যাচ্ছে মাহফুজকে তথ্য ও সম্প্রচার এবং ফয়েজকে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হতে পারে।
তবে পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর। তার বিশেষ সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় এক্ষেত্রে কেউ কেউ তাকে এগিয়ে রেখেছেন। আর তথ্য-প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থায় ফয়েজকে যেকোনো ফরম্যাটেই এখানে রাখা হবে বলে জানাগেছে।
আরেকটি সূত্র বলছে, তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমকে বেশি পছন্দ ছিল প্রধান উপদেষ্টার। সে হিসেবে তাকে অফারও করা হয়। তিনি উপদেষ্টা হলে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দেওয়ার দ্বিতীয় ব্যক্তি না থাকায় সেটি আর সামনে এগোয়নি। পরে তাকে সিনিয়র পদমর্যাদা দেওয়া হয়। আর সম্প্রতি সিনিয়র সচিবের পদ মর্যাদা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনির হায়দার। তাকে মূলত প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত (ঐকমত্য গঠন কমিশনের) কাজে লাগাতে চান ড. ইউনূস। সে হিসেবে মাহফুজ আলম তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে এগিয়ে আছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানাগেছে, মাহফুজ আলমকে উপদেষ্টা হিসেবে নতুন দায়িত্ব দেয়া হলেও তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার (সমন্বয় ও সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব দেওয়া হবে।