প্রযুক্তি নির্ভর ডিভাইসের ব্যবহার কৌশল প্রণয়নের তাগিদ
সোমবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে শুরু হলো দুইদিনব্যাপী ‘অর্থনীতির পুনর্বিন্যাস বিষয়ে টাস্কফোর্সের সুপারিশ’ সংক্রান্ত সভা। দেশের অর্থনীতি পূণর্গঠনে গঠিত টার্সফোর্স থেকে গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেয়া সংস্কার প্রতিবেদনের ১৭টি সেকশন নিয়ে কয়েকটি পর্বে অনুষ্ঠিত হবে এই সভা।
সভায় সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় সভার প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর সাবেক মহাপরিচালক ও অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণে গঠিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কে এ এস মুরশিদ।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন। বক্তব্য রাখেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বিকাশ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমৃতা ইসলাম, বিডিজবস ডটকম প্রতিষ্ঠাতা সিইও ফাহিম মাশরুর প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিগত সময়ে দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ও অর্থপাচার এ দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘ব্যাংকিং সেক্টর ও নানা অবকাঠামো নির্মাণে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমাদের রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। আমাদের বেশিরভাগ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আসে। শ্রম উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি অবশ্যই অন্যতম একটি উৎস।’
টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কে এ এস মুরশিদ কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, এখন আমাদের খুবই দারুণ সব প্রযুক্তি রয়েছে। এগুলো আমাদের কৃষিতে সংযুক্ত করতে হবে। এসব প্রযুক্তি নির্ভর ডিভাইসের ব্যবহার কৌশল আমাদের কৃষিখাতকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। এর পরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডিজিটাল অর্থনীতি এবং সুশাসন। আমরা মনে করি ডিজিটাল অবকাঠামো ও ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশ এবং ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনাটাই হবে সম্ভাব্য সকল সমস্যার শক্তিশালী সমাধান। এক্ষেত্রে তরুণদের ইতিবাচক অংশ্রহণে বড় প্লাটফর্ম দরকার।
সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণের ওপর কর আরোপ কিংবা ট্যারিফ বাড়িয়ে কোনো অর্থনীতি বিকশিত হবে না। আমাদেরকে অবশ্যই বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণমুক্তকরণ এবং উদার অর্থনীতির পথে চলতে হবে। এতে ব্যবসায় বিকাশ ঘটবে।
টাস্কফোর্স সদস্য সাবেক সচিব কাউসার আহমেদ, বুয়েটের শিক্ষক ড. শামসুল হক. গবেষক ড মঞ্জুর হোসেন, ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রুমানা হক, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট আক্তার মাহমুদ মেট্রোপলিটন চেম্বরর্স অ্যান্ড কমার্সের সাবেক সভাপতি নাসিম মঞ্জুর, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহমেদ মুশফিক মুবারক, সানেম নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোঃ এমদাদ উল বারী।







