ওএমআর মেশিন কেনা কোম্পানি বিএনপির, প্রমাণ দেখালেন শিবির নেতা

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  
ওএমআর মেশিন কেনা কোম্পানি বিএনপির, প্রমাণ দেখালেন শিবির নেতা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ওএমআর মেশিন ও ব্যালট বিএনপি সমর্থিত ব্যক্তির কোম্পানি থেকে কেনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম। 

ছাত্রদল ভিপি প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসানের জমায়াতের প্রতিষ্ঠান থেকে ভোটের ওএমআর মেশিন কেনা ও ব্যালট ছাপানো এবং সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের মতো অভিযোগে ভোট বর্জনের পর বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে প্রমাণসহ এ তথ্য তুলে ধরলো সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট। 

১১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকেলে সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ওএমআর মেশিন জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অথচ এইচআর সফটবিডি নামের প্রতিষ্ঠানের সিইও রোকমনুর জামান রনি বিএনপি সমর্থক। তার ফেসবুক আইডিতে গেলে বিষয়টি ক্লিয়ার হবে। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতার সঙ্গে ছবি দিয়ে নানান সময় পোস্ট দিয়েছেন। জামায়াতবিরোধী পোস্টও তার আইডিতে দেখা যায়।’

তিনি বলেন, ‘ওএমআর মেশিন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়েছে সেটি কোনো বিষয় নয়। এ মেশিনে কোনো ত্রুটি আছে কি না সেটা দেখার বিষয়। আমরা যদি বলি আমাদের ভিসি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ছিলেন। তাই বলে কী গোটা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনপির হয়ে গেছে? 

এছাড়াও তিনি ছাত্রদল প্যানেলের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল, মব সৃষ্টি ও দায় চাপানোর অভিযোগ করেন। তারা সাংবাদিকসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

এর আগে বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনে প্রক্টর অফিসের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আরিফ উল্লাহ অভিযোগ করেন ছাত্রদল বিভিন্ন হলে গিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করছে।

এদিকে ছাত্রদলের বয়কটের সঙ্গে সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। তারা হলেন- অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও নাহরিন ইসলাম খান।

এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ প্রার্থী। নির্বাচনে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে মোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করে। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হল মিলিয়ে মোট ২১ ভোটকেন্দ্র।