২০৩০ সালের মধ্যে আইকাও বৈশ্বিক নিরাপত্তা লক্ষ্য পূরণ করতে চায় বিমান বাংলাদেশ

২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে শূন্য প্রাণহানির লক্ষ্য অর্জন করে বাংলাদেশ বিমান আইকাও বৈশ্বিক নিরাপত্তা (ICAO Global Aspirational Safety Goal) নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। 

Jan 9, 2025 - 11:49
২০৩০ সালের মধ্যে আইকাও বৈশ্বিক নিরাপত্তা লক্ষ্য পূরণ করতে চায় বিমান বাংলাদেশ

আকাশসীমায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এরই অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের আশেপাশে বার্ড স্ট্রাইক কন্ট্রোল, বোর্ডিং ব্রিজ অপারেটরদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এসব কার্যক্রমের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে শূন্য প্রাণহানির লক্ষ্য অর্জন করে বাংলাদেশ বিমান ICAO Global Aspirational Safety Goal পূরণ করা সম্ভব হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। 

সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনা পর্যালোচনান্তে বিমান চলাচল সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে  বুধবার (৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও সকল অংশীজনের করণীয় বিষয়ক এই সেমিনারে বেবিচকের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বিমান প্রধান। কর্মশালায় বেবিচকের সকল সদস্য ও অন্যান্য পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান বলেন, বিমান চলাচলে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সবাই একসাথে কাজ করলে আমরা দুর্ঘটনামুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবো।

তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী আলোচকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, টিমওয়ার্ক সকল বিমান চলাচল স্টেকহোল্ডারের জন্য অপরিহার্য। বেবিচক চেয়ারম্যান বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

এসময় এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বেবিচক এবং এভিয়েশন স্টেকহোল্ডারদের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি নিরাপদ বিমান চলাচলের পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ অব্যাহত রয়েছে। তিনি সকল স্টেকহোল্ডারকে ঝুঁকি শনাক্ত ও ঝুঁকি কমানোর উপায় খুঁজে বের করতে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

আলোচকরা বিমান চলাচল সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রেজেন্টেশন দেন।