টিকটকে ধরা স্বর্ণ চোর

৩ জুলাই, ২০২৫  
৩ জুলাই, ২০২৫  
টিকটকে ধরা স্বর্ণ চোর

চোরাই স্বর্ণ পরে স্ত্রীর টিকটক থেকে ধরা খেলেন স্বার্ণ চোরাকারবারি চক্রের ৪ সদস্য। ঘনটাটি কুমিল্লার দ্বেবিদ্বার থানার। আটক ব্যক্তিরা হলেন টিকটকার শাহীন আক্তার শাহীনের স্বামী স্বামী মো. সোহেল মিয়াকে (২৯), স্বর্ণ চোর সিন্ডিকেটের প্রধান আবুল কাসেম, আবু তাহের (৩০) ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৫)। 

এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম জানান, টিকটকার শাহীন আক্তার শাহীনের টিকটক থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণের গহনা সনাকত করা হয়। এরপর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার কামরাঙ্গীচর এলাকা থেকে তার স্বামী মো. সোহেল মিয়াকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। মো. সোহেল মিয়া কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চন্দ্রনাইল গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রবের ছেলে। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে এলাকার স্বর্ণের দোকান চিহ্নিত করে তার সিন্ডিকেটের সহায়তায় চুরি করে আসছিলেন।

তিনি বলেন, সোহেল মিয়ার স্ত্রী শাহীন আক্তার শাহীন টিকটক করতেন। সোহেলের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে দেখা যায়, তার স্ত্রী ওই চোরাই স্বর্ণের গহনা পরে টিকটক করছিল। পরে অভিযান চালিয়ে  সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ১৬ মে দেবিদ্বার নিউমার্কেট কলেজ রোডের বারেক প্লাজার পূর্ব গলির খাদিজা শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. জাকির হোসেন জুমার নামাজ শেষে দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন তার দোকানের তালা নেই। ভেতরে ঢুকে দেখেন  শো-কেসের ভেতর প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণের গহনা নেই।

ওই দিন সন্ধ্যায় চুরি করা স্বর্ণ কুমিল্লার ইপিজেডের একটি স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করতে গিয়ে আবু তাহের (৩০) ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৫) পুলিশের হাতে আটক হয়। তারা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও  এলাকার বাসিন্দা বিউটির বাড়ির ভাড়াটে। শারমিনের বাড়ি জেলার বুড়িচং উপজেলায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুরাদনগর থেকে আটক হয় স্বর্ণ চোর সিন্ডিকেটের প্রধান আবুল কাসেম। আদালতে তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে স্বর্ণ চোর সিন্ডিকেটের অপর সদস্য মো. সোহেল মিয়ার নাম।

এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, সোহেলসহ স্বর্ণ চোরাচালানি চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।