ইরানে ইসরাইলের ড্রোন কারখানা?

১৬ জুন, ২০২৫  
১৬ জুন, ২০২৫  
ইরানে ইসরাইলের ড্রোন কারখানা?

দেশের অভ্যন্তরে তিন তলাবিশিষ্ট একটি ইসরায়েলি ড্রোন কারখানার অবস্থান চিহ্নিত করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী।

এই খবর দিয়েছে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি) সংশ্লিষ্ট আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের আরও কিছু স্থাপনা ইরানের ভেতরে রয়েছে বলে মনে করছে তেহরান। এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো।

টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, শুক্রবার ইরানে প্রথম দিককার হামলার সময় বিস্ফোরকবাহী কোয়াডকপ্টার ড্রোন, রকেট ও অন্যান্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে ইসরায়েল। ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী, সামরিক কমান্ডার, বিমানবিধ্বংসী ব্যাটারি ও ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নিখুঁত হামলার জন্য দেশটির ভেতরে রাখা হয়েছিল সরঞ্জামগুলো।

এ বিষয়ে ১৫ জুন, রবিবার প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যামেরিকাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এতে বলা হয়, অস্ত্রগুলো চোরাই পথে ইরানে ঢোকানো হয়। এগুলো ইরানে তৈরি করা হয়নি।

ইরানের ভূখণ্ডে শুক্রবার শুরুর সময়ে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল ও বিজ্ঞানীকে হত্যা করে ইসরায়েল। জবাবে ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ইসরায়েলে প্রায় ৩০০টি লেজারনিয়ন্ত্রিত আকাশ থেকে স্থলে নিক্ষেপণযোগ্য হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল আগে থেকেই বড় পরিসরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত করছিল। এরই অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র এই বিপুল সংখ্যক হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে পাঠায়। এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ ইঙ্গিত দেয় যে, ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন আগে থেকেই ভালোভাবে অবগত ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই মার্কিন কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র যে ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণে হেলফায়ারসহ অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করেছে, সে খবর এত দিন প্রকাশিত হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করতে মার্কিন সেনাবাহিনী সহায়তা করেছে।