মামলা বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য অনলাইন করা হচ্ছে

১০ জুন, ২০২৫  
১০ জুন, ২০২৫  
মামলা বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য অনলাইন করা হচ্ছে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ধীরে ধীরে থানায় না এসে অনলাইনেই আপনারা মামলা ও জিডি করতে পারবেন। মামলা বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য অনলাইন করা হচ্ছে। 

১০ জুন (মঙ্গলবার) গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান উপদেষ্টা।  

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগে বলা হতো জিডি এবং মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা এরইমধ্যে মামলার গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা করেছি। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ইতোমধ্যে আমরা সিলেটে শুরু করেছি। এটা পুরো দেশে শুরু করবো। পাসপোর্টে এখন আর ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন পড়ে না। রকম জিডি এবং মামলা করতে আপনাদের থানায় আসতে হবে না। হয়রানি পোহাতে হবে না। থানায় না এসে অনলাইনেই আপনারা মামলা ও জিডি করতে পারবেন। মামলা বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য অনলাইন করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আপনারা বলেন, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের কথা। এখন থেকে জিজ্ঞাসা করার জন্য আমরা কাঁচের মতো ঘর করে দেবো। অন্যরা দেখতে পারবে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কি না।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা বিভিন্ন মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আসামি বেশি হওয়ার কারণে দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় দোষীদের পাশাপাশি নির্দোষ লোকও আছে। আপনারা জানেন, আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অসংখ্য মানুষের নামে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করতো। এবার হয়েছে কি? আপনারাই ১০/১৫ জনের নাম দিছেন, ২০০/২৫০ বেনামি লোক আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্তে দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছে মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্যে, দুর্নীতিতে জড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা অ্যাটাচ করে রেখেছি। এরইমধ্যে৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরও ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠিত হবো না। যদি কোন রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়।

উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটা যদি আমরা কোন অবস্থায় কন্ট্রোলের ভেতরে আনতে পারতাম, তাহলে কিন্তু দেশ অনেক আগায় যেত। এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করেন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে।

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাছা থানা ও ব্যারাক পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানসহ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।