প্রস্তাবিত বাজেটে খুশী এমটব

প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেক্টরে ন্যূনতম কর্পোরেট ট্যাক্স ২% থেকে কমিয়ে ১.৫% করার সিদ্ধান্তকে ‘আন্তরিকভাবে স্বাগত’ জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) । এছাড়াও, বিটিআরসি এবং অন্যান্য আয় বহির্ভূত সংস্থাগুলোর জন্য রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র (PSR) সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসন করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে আসছে বাজেট অন্যান্য সরকারি সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘদিনের অনিষ্পন্ন অনুরূপ সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের বিষয়েও ‘অত্যন্ত আশাবাদী’ করেছে তাদের।
৪ জুন, বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এমটব এর বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এমন অভিব্যক্তি উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়েছে, “গত এক দশক ধরে মোবাইল টেলিকম সেক্টরে ট্যাক্সের ধারাবাহিক বৃদ্ধি অপারেটরদের জন্য বিনিয়োগে যুক্তিসঙ্গত রিটার্ন অর্জনকে ক্রমশ কঠিন করে তুলেছে। তার ওপর, বাজেটে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ১০% সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ডিজিটাল কনটেন্টের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী মূল্যকে প্রভাবিত করতে পারে—যা একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। আমরা কর্পোরেট ট্যাক্স রেট কমানো (তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত উভয় অপারেটরের জন্য), সিম ট্যাক্স ও সিম প্রতিস্থাপন ট্যাক্স বাতিল এবং ১% সারচার্জ প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছিলাম”।
“এছাড়াও, স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি ও ডেটা খাতের সম্প্রসারণে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ট্যাক্স কমানোর আশা করা হচ্ছিল। তবে, প্রস্তাবিত বাজেটে এমন কোনো পদক্ষেপ বা সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের ইঙ্গিত দেখা যায়নি। ইন্টারনেট সেবার উপর উইথহোল্ডিং ট্যাক্স ১০% থেকে ৫% কমানো একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও এটি শুধুমাত্র ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা (B2B) লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাই সাধারণ ভোক্তাদের ইন্টারনেট খরচের উপর এর কোনো প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না”।
“আমরা সাম্প্রতিক এই পরিবর্তনগুলোর প্রশংসা করি এবং আশা রাখি সরকার আমাদের অবশিষ্ট প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনা করে দেশের পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সম্ভাবনা উন্মোচনে আরও অবদান রাখবেন”।