শিক্ষায় প্রযুক্তি হবে পরিপূরক; প্রতিস্থাপক নয় : উপদেষ্টা

৪ জুন, ২০২৫  
৪ জুন, ২০২৫  
শিক্ষায়  প্রযুক্তি হবে পরিপূরক; প্রতিস্থাপক নয় : উপদেষ্টা

প্রযুক্তি নতুন সম্ভবানার অপার সুযোগ সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, প্রযুক্তি শিক্ষাদান, শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা প্রশানের পরিবীক্ষণে প্রযুক্তি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা প্রযুক্তিকে শিক্ষার পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করতে চাই, প্রতিস্থাপক হিসেবে নয়। আমরা প্রযুক্তিকে এমন ভাবে ব্যবহার করতে চাই যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীও ভালো শিক্ষক, ভালো উপকরণ এবং সমর্থনের নাগালে আসতে পারে। ডিজিটাল লার্নিং প্লাটফর্ম, রিপোর্ট টিচিং এবং অনলাইন ট্যুরের মাধ্যমে আমরা নতুন ধরনের শিক্ষা পরিবেশ তৈরি করতে চাই। যা শিক্ষককে শক্তিশালী করবে। শিক্ষার্থীকে আগ্রহী করবে। এবং অভিভাকদেরও সম্পৃক্ত করবে। অনলাইন শিক্ষার ব্যপ্তি ঘটিয়ে কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে একই মানের শিক্ষাব্যবস্থা করা হবে। 

৪ জুন (বুধবার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিডা’র বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্ধৃত করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, আশা করি সম্মেলন থেকে যে ধারণা পেয়েছি তা বাস্তবায়নে এড্যুটেককে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারবো। আমাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে সম্পৃক্ত করতে পারবো। 

তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক শিক্ষক যেন শ্রেণীকক্ষে প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে আরো কার্যকর ভাবে পাঠদান করতে পারেন আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী জুলাই মাস থেকে কলেজ শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

দেশের বেকারত্ব  ‍দূরিকরণে  কারিগরি শিক্ষার বিকাশে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, মান উন্নয়ন ও ইন্টার্নশিপের আমরা চামড়া শিল্প, ওষুধ শিল্প, সিরামিক শিল্পসহ নানা খাতের শিল্প বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধি নিয়েও আলাপ আলোচনা করেছি। কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রম এবং দেশ বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে অংশীজনদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি কারিগরি শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ সীমিত। বিষয়গুলো সমাধানে আমরা কাজ করবো। মাদ্রাসা শিক্ষাকে প্রযুক্তি নির্ভর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  

শিক্ষা ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে জিরো টলারেন্স নীতিতে অবস্থানের কথা উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার জানান, ব্যক্তিগতভাবে তাকে একটি বদলির জন্য এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একটি বড় পদের পদায়নের জন্য আমার কাছে তদবির এসেছিল। তার জন্য প্রথিতযশা একজন কম্পিটিড ইন্সটেকচেলিয়াল (বুদ্ধিজীবী) তদবির করেছিল। পরে তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি তিনি ওই পদের জন্য যোগ্য নন। তখন আমরা তাকে প্রত্যাখ্যান করি। পরবর্তীতে তিনি অন্য মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এবং সে আমাকে একটা অ্যামাউন্ট অফার করেন। টাকাও আমি বলে দেই এক কোটি টাকা অফার করেছিলেন। তিনি যাকে দিয়ে বলেছিলেন তিনি আমার পরিচিত। যিনিও একটি প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন। আমি আর বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না। আমি বুঝাতে চাচ্ছি আমার সহকর্মী যারা আছে তারা যেন নৈতিক অবস্থানে স্থির থাকবেন। আমি পদে থাকা অবস্থায় কোন দুর্নীতি সহ্য করব না।