সহজ হচ্ছে কিস্তিতে মোবাইল ফোন বিক্রির পথ

স্মার্টফোন গ্রহাকদের হাতের নাগালে আনতে মোবাইল ‘সিমের নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইস স্লট’ লক রাখার সুবিধা দিয়ে কিস্তিতে মোবাইল ফোন বিক্রির পথ সুগম করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। বিটিআরসির ২৯৩ ও ২৯৪তম কমিশন সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানাগেছে। অবশ্য এরই মধ্যে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক কিস্তিতে মোবাইল ফোন বিক্রি করছে।
সূত্রমতে, এখন থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের পাশাপাশি মোবাইল ফোন উৎপাদক বা মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা মোবাইল সিম বা নেটওয়ার্ক লকিং (সব সিম স্লট) এবং ডিভাইস লকিং উভয় পদ্ধতির মাধ্যমে যৌথভাবে বা এককভাবে মোবাইল ফোন সেট কিস্তিতে বিক্রি করতে পারবেন।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক। এর ফলে উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও মোবাইল ফোন অপারেটররা কিস্তিতে বিটিআরসি থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হ্যান্ডসেটের সাথে মোবাইল সিম বিক্রি করতে পারবে বলে মনে করছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।
কিস্তিতে মোবাইল ফোন সেট বিক্রির ক্ষেত্রে বিটিআরসি’র দেয়া শর্ত অনুযায়ী, মোবাইল ফোন অপারেটর, মোবাইল ফোন উৎপাদক বা মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা মোবাইল সিম বা নেটওয়ার্ক লকিং (সব সিম স্লট) এবং ডিভাইস লকিং উভয় পদ্ধতির মাধ্যমে যৌথভাবে বা এককভাবে মোবাইল ফোন সেট কিস্তিতে বিক্রি করতে পারবেন। ক্রেতার সব কিস্তি পরিশোধ হলে বা সব বকেয়া নির্ধারিত সময়ের আগে পরিশোধ করা হলে সিম বা নেটওয়ার্ক লকিং এবং ডিভাইস লকিং উভয় পদ্ধতির বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দিয়ে গ্রাহককে পছন্দ মতো মোবাইল ফোন সেটা ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটররা মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি, উৎপাদন ও সংযোজন করতে পারবে না। তবে মোবাইল ফোন অপারেটররা মোবাইল ফোন উৎপাদক বা মোবাইল ফোন আমদানিকারদের সাথে চুক্তির মাধ্যমে বিটিআরসি অনুমোদিত মোবাইল ফোন সেট কিস্তির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবে। মোবাইল অপারেটররা কিস্তিতে মোবাইল ফোন সেট বিক্রির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্যাকেজ (প্রণোদনাসহ বা প্রণোদনা ব্যাতীত) চালু করার আগে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ থেকে অনুমোদন নিয়ে নেবে এবং মোবাইল ফোন সেট বিক্রির সব তথ্য কমিশনে দাখিল করবে। কমিশন থেকে পরবর্তী সময়ে কোনও নির্দেশনা দিলে মোবাইল ফোন অপারেটর, মোবাইল ফোন উৎপাদক বা মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে। একই সাথে এই প্রসঙ্গে কমিশন থেকে জারিকৃত ২০২৩ সালের ২ জুলাইয়ের নির্দেশনা রহিত করে কমিশন।