বিউইবিটিতে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত

২৪ মে, ২০২৫  
২৫ মে, ২০২৫  
বিউইবিটিতে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত

বিজয়ী ৩৯  জনের মধ্যে নগদ টাকা, স্বাস্থ্য বীমা, ল্যাপটপ, ট্যাব, লোকাল ট্যুর, ইন্টারন্যাশনাল ট্যুর, ট্রফি, মেডেল, সার্টিফিকেট ও নানাপুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো  "আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়। শনিবার (২৪ মে ২০২৫) রাজধানীর মিরপুরে 'বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি' তে অনুষ্ঠিত আসরের চূড়ান্ত পর্ব। 

এই পর্বে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নির্বাচিত ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে উত্তীর্ণ ২৯০ জন প্রতিযোগীদের নিয়ে দিনব্যাপী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের প্রযুক্তিখাতে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে আয়োজিত অলিম্পিয়াডের সমাপনীতে 
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডক্টর এ বি এম শওকাত আলী।  তিনি বিজয়ী দলগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে প্রস্তুত করতে আয়োজকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এসময় অলিম্পিয়াড বিচারক প্যানেলের সদস্য হিসেবে অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস এর আইকিউএসি ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মো: সাফায়েত হোসেন; স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের প্রেসিডেন্ট এবং নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জ এর এডভাইজার আরিফুল হাসান অপু,  ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং  এর চেয়ারম্যান মোঃ তাহজিবুল ইসলাম, আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের এডভাইজার ইংলিশ অলিম্পিয়াড ফাউন্ডার আমান সুলেমান এবং কোয়ান্টাম সেইফ বাংলাদেশের সিইও মুজতবা সত্তার অনন্ত  উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিযোগিতা নিয়ে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান বলেন, "আমাদের লক্ষ্য হল প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যৎ গড়তে আগামীর প্রজন্মকে তৈরি করা। এই অলিম্পিয়াড শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং একটি প্ল্যাটফর্ম যা তরুণদের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।"

আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান নিপু বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।

প্রোগ্রাম কো-কনভেনার গোলাম সারোয়ার বলেন আইসিটি অলিম্পিয়াড কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি মিশন—যেখানে আমরা তরুণদের প্রযুক্তি-দক্ষতা, উদ্ভাবনী শক্তি এবং নেতৃত্বের গুণাবলি গড়ে তুলতে কাজ করছি। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়তে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে, আর আমরা সেই পথ তৈরিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।”