আইএসপি-আইআইজি ট্যারিফ নির্ধারণ

জুলাই থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমবে ২০ শতাংশ

২২ মে, ২০২৫  
২২ মে, ২০২৫  
জুলাই থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমবে ২০ শতাংশ

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন ট্যারিফ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি। বেধে দেয়া দাম অনুযায়ী, এক দেশ এক রেটের অধীনে প্রতি লেয়ারে ১০০ টাকা করে দাম কমানো হয়েছে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের সেবা মূল্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকেরা। 

প্রাপ্ত নথি অনুসারে, একটি সংযোগ সর্বোচ্চ ৮ জনের মধ্যে শেয়ার করার সুযোগ রেখে মেট্রো, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম ৫ এমবিপিএস সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবি পিএস ১১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ট্যারিফ আগামী ৫ বছরের জন্য নির্ধারিত থাকবে।  

নতুন ট্যারিফকে স্বাগত জানিয়ে আইএসপিএবি জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক জানিয়েছেন, আগামী জুলাই থেকে এই ট্যারিফ কার্যকর করবেন তারা। তবে এখনো ট্যারিফে ৫ এমবিপিএস থাকায় তারা বিস্মিত। কেননা, ৫ এমবিপিএস লাইন দিয়ে মান সম্মত ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায় না। এটা ব্রডব্যান্ডকে ন্যারো ব্যান্ডে পরিণত করে। বিষয়টি কমিশন দ্রুতই আমলে নেবেন বলে মনে করেন তিনি। 

সূত্রমতে,গত বছরের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নিয়ে পুরো ইন্টারনেট সরবরাহ ব্যবস্থার বিশদ পর্যালোচনা করে নতুন মূল্য নির্ধারণ করে বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারীর কমিশন। এরপর গত বছরের ৩ ডিসেম্বর টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এই ট্যারিফের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল বিটিআরসি। তবে, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে টেলিযোগাযোগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে প্রায় সাড়ে চার মাস সময় লেগে গেলো নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন মূল্য কাঠামো দেশে ইন্টারনেট সংযোগ গ্রহণের হার বাড়াবে এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকে আরও গতিশীল করবে। 

গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট মূল্য সুলভ করতে এবং বাজার প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে গত ১৮ মে আইএসপি’র পাষাপাশি আইআইজি পর্যায়েও ট্যারিফ সংশোধন করেছে বিটিআরসি। ব্রডব্যান্ডের সঙ্গে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমাতে প্যানালটি শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স-কে বিবেচনায় নিয়ে ৭টি স্ল্যাবে নতুন ট্যারিফ দেয়া হয়েছে। এতে ১০০ এমবিপিএস ব্যান্ডউথের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২৬৫ থেকে ২৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ স্লাবে ১ লাখ ১ এমবিপিএস এর পরবর্তী বাল্কের জন্য মূল্য ধরা হয়েছে ২৩০ থেকে ২৫৫ টাকা। এই মূল্য আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ বছরের জন্য নির্ধারিত থাকবে। ১০ জিবিপিএস এর চেয়ে বেশি ভলিউমের জন্য প্রতিটি ক্রয় আদেশে সর্ব নিম্ন ৬ মাস বহাল রাখতে হবে। 

তবে বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অঘোষিত ভাবে আইআইজি’রা ১৭৫ টাকায় ১০০ এমবিপিএস ভলিউম বিক্রি করে থাকেন।