মধ্য মে-তে গ্যালাক্সি এ০৬ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট

দিন দশেক আগে বাংলাদেশের বাজারে মোড় উন্মোচিত স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৬ ফোনের। এরপর শুরু হয় আগাম বায়না। এসময়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে ‘অবিশ্বাস্য’ সাড়া মিলেছে বলে জানিয়েছে স্যামসাং বাংলাদেশ।
আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পর থেকেই ডিভাইসটি স্মার্টফোনপ্রেমীদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রথম ধাক্কাতেই বাংলাদেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনগুলো ফুরিয়ে যাওয়ার আভাসও মিলেছে। তাই একই মডেলের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাজারে আনার বার্তা দিয়েছে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
তবে কী পরিমাণ বায়না এসেছিলো এবং বিক্রি হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি দক্ষিণ করিয়ার ভিত্তিক ব্র্যান্ডটি। কেবল, মে মাসের মাঝামাঝির মধ্যেই গ্যালাক্সি এ০৬-এর নতুন ভেরিয়েন্টের (৪ জিবি + ১২৮ জিবি ও ৬ জিবি + ১২৮ জিবি) স্টক আবারো পূর্ণ করার ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং বাংলাদেশ।
এ নিয়ে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের এমএক্স ডিভিশন বাংলাদেশ শাখার হেড অব প্রোডাক্ট অ্যান্ড মারকম সৈয়দ মো. বদরুল আরিফীন বলেন, “বর্তমানে আরও বেশি মানুষ তাদের জীবনযাত্রা উন্নত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। একারণে, আমরা আমাদের সর্বশেষ স্মার্টফোনে এমন ফিচার যুক্ত করেছি যা ক্রেতাদের জীবনকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবে। আমাদের প্রচেষ্টা সফল হওয়ায় এবং ক্রেতাদের অসাধারণ সাড়া পাওয়ায় আমরা সত্যিই উচ্ছ্বসিত।”
প্রসঙ্গত, গ্যালাক্সি এ০৬-এ ২০:৯ আসপেক্ট রেশিও সহ ৬.৭ ইঞ্চি এইচডি+ ডিসপ্লে, মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৫ প্রসেসর, ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সহ ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটিতে ৪ বছরের সিকিউরিটি আপডেট ও ২টি ওএস (অপারেটিং সিস্টেম) আপগ্রেড জেনারেশনের সুবিধা রয়েছে। ডিভাইসটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর রয়েছে। সব মিলিয়ে ৬০ এফপিএস (ফ্রেমস পার সেকেন্ড) ১০৮০ পিক্সেলের ভিডিও রেকর্ডিং হয় ক্যামেরাটিতে।