সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'স্ট্যান্ড উইথ ফাহমিদুল' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে প্রতিবাদের ঝড়

সৌদি আরবে দলের সঙ্গে ক্যাম্পে যোগ দিয়ে অনুশীলনে হ্যাটট্রিক করার পরও ইতালি প্রবাসী তরুণ ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলামকে দেশে আনা হয়নি। এর প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'স্ট্যান্ড উইথ ফাহমিদুল' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে প্রতিবাদের ঝড় তুলছেন বাংলাদেশ ফুটবলের সমর্থকরা। ফাহমিদুল যোগ্য হওয়ার পরও তাকে দলে নেওয়া হয়নি দাবি করে বুধবার নতুন কর্মসূচি দিয়েছে তারা।
সকাল ১১টা থেকে শাহবাগে জমায়েত করার পরিকল্পনা তাদের। দুপুর ১টায় বাংলাদেশ দল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন কোচ কাবরেরা। সেই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচকে ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখা করতে বলা হয়েছে আন্দোলনরতদের পক্ষ থেকে।
আন্দোলনরত সমর্থকদের দাবি, কোচ যদি সিন্ডিকেট দ্বারা প্রভাবিত হন তা সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া ফাহামিদুলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ফুটবল সমর্থকরা। এজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং এই অসদাচরণের জন্য দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আজ সংবাদ সম্মেলনে এমনটা না হলে টিম বাস ঘেরাও করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে দুই প্রবাসী ফুটবলারের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে স্বপ্ন সাজাচ্ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। তাদের মধ্যে একজন হামজা চৌধুরী, যিনি এরইমধ্যে দেশে এসে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
তাকে দলের ক্যাম্প থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ইতালিতে। ফাহমিদুলকে না আনার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
সৌদি থেকে দেশে ফিরে তিনি বলেন, ‘ফাহমিদুল ঢাকা আসেনি। সে সৌদিতে এক সপ্তাহ আমাদের সঙ্গে ক্যাম্পে ছিল। সে মেধাবী খেলোয়াড় তবে আরো কিছু সময় প্রয়োজন। ’
অথচ ইতালিয়ান ফুটবলে ৪র্থ ডিভিশনে খেলা ফাহমিদুলকে খুঁজে বের করেছিলেন কাবরেরাই। তার ইচ্ছাতেই সৌদির ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল ১৮ বছর বয়সী এই উদীয়মান ফুটবলারকে। এমনকি অনুশীলনে গোলের হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। এমন একজন খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়ায় হতাশ সমর্থকরা।
ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়ায় দেশের সকল ফুটবল ফ্যানব্যাজ মিলে বাফুফে ভবনের সামনে একত্রিত হয়েছে। আন্দোলতরত সমর্থকদের দাবি, ফুটবলের সিন্ডিকেটের কারণেই ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকেও রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দেশের ফুটবল সমর্থকদের গ্রুপ বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস এবং সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বাফুফে ভবন সামনে 'লং মার্চ টু বাফুফে' নামের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।