আইটি খাতের রেমিটেন্স আসবে ই-ওয়ালেটে; খরচ কমবে

প্রবাসী আয়ের পর এবার তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতের বিদেশি আয় স্থানীয় পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (পিএসপি) মাধ্যমে দেশে আনার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পিএসপি মূলত ‘ই-ওয়ালেট’ সেবা দিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনলাইনভিত্তিক লেনদেন পরিষেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করতে হয়।
ফলে আইটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে অর্থ আনতে খরচ কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এই সুযোগের ফলে আইটিখাতের বিদেশি আয় সহজে দেশে আনতে পিএসপিএস প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করতে পারবে।
এতোদিন ব্যাংকিং চ্যানেল ও মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এমএফএসপি) মাধ্যমে এসব আয় দেশে আনার সুযোগ ছিল। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১৮টি কোম্পানি পিএসপি সেবা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার, ডিজিটাল ওয়ালেট প্রোভাইডার কিংবা এগ্রিগেটরেরদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আইটি খাতের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয় প্রত্যাবাসনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশ কয়েকটি ব্যাংক এ ধরনের আয় প্রত্যাবাসন করে থাকে। এ জাতীয় লেনদেনের সংখ্যা বেশি হলেও অর্থের পরিমাণ তুলনামূলক কম। তাই ছোট ছোট আয় পিএসপির মাধ্যমে সহজে প্রত্যাবসন হবে।’
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে ডলার সংকট কাটাতে পিএসপি প্রবাসী আয় নিয়ে আসার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মোবাইলে সেবাদান প্রতিষ্ঠান, বিদেশে থাকা অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার, ডিজিটাল ওয়ালেট প্রোভাইডার কিংবা অ্যাগ্রিগেটরদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আইটিখাতের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয় দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়। আইটিখাতের আয় প্রত্যাবাসনের জন্য আরো বেশি সুবিধা দিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্থানীয় পিএসপিদেরকে একই সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন নীতিমালার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১১ সালের অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে বিদেশি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে সেবাখাতের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয় প্রত্যাবাসনের নীতিমালা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা হয়। বেশ কয়েকটি ব্যাংক এ ধরনের আয় প্রত্যাবাসন করে থাকে। এ জাতীয় লেনদেনের সংখ্যা বেশি হলেও লেনেদেন প্রতি অর্থের পরিমাণ কম। ছোট ছোট আয় পিএসপিদের মাধ্যমে সহজে প্রত্যাবাসন হবে বলে আশা করছেন তারা।
প্রসঙ্গত, পিএসপি হল একটি তৃতীয় পক্ষের কোম্পানি যা ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড থেকে ক্রিপ্টো পেমেন্ট বা ইলেকট্রনিক পেমেন্ট গ্রহণ করতে ব্যবসায়িকদের সহায়তা করে। ভোক্তা এবং খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে।