প্রস্তাবিত তফসিলে ‘মোবাইল’ প্রতীক; দাবিদার তিন দল

শাপলা প্রতীক না রেখে প্রস্তাবিত তফসিলেন তালিকায় প্রতীক হিসেবে মোবাইলকে অন্তর্ভুক্ত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)৷ তালিকায় যুক্ত হয়েছে কলমও। এই দুই প্রতীক পেতে এরইমধ্যে একাধিক দল ইসি সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছে।
গত ২২ জুন নিবন্ধন আবেদনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে শাপলা, মোবাইল ও কলম প্রতীক চেয়েছিলো জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)।
এদের মধ্যে জনস্বার্থে বাংলাদেশ দলের প্রেসিডেন্ট মো. বাবুল হোসেন ইসি সচিবের কাছে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘মোবাইল’ প্রতীক নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক দল দেশে ‘দীর্ঘদিন’ যাবৎ প্রচার-প্রচারণা করে আসছে এবং নির্বাচন কমিশনেও আমাদের দলের আবেদনে প্রস্তাবিত প্রতীকের ব্যাপারে অবগত আছে।
‘জনস্বার্থে বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধন আবেদন করে ২০২২ সালে ৩০ অক্টোবর এবং প্রতীক হিসেবে ‘মোবাইল’ চায়। গণমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম জাতীয় নাগরিক পার্টিকে মোবাইল প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে আমরা এরকম সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
এদিকে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির মুখপাত্র কাজী শামসুল ইসলাম ইসি সচিবকে লেখা চিঠিকে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির জন্য ‘কলম’ প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছে।
গত ২২ জুন সব রাজনৈতিক দলের আবেদন শেষে সংবাদ মাধ্যম বরাতে জানা যায়,
বেশ কয়েকটি দল দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘কলম’ চেয়েছে। যখন ‘কলম’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি, তখন অনেক রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনই করেনি। সুতরাং ‘কলম’ প্রতীকের অগ্রণী দাবিদার একমাত্র বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি।
বিগত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ জাগ্রত পার্টির জন্মলগ্নে রেজ্যুলেশন ও পরবর্তিতে গঠিত গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্রে দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘কলম’ ব্যবহার করা হয়। সবকিছু বিবেচনায় নৈতিকভাবে ‘কলম’ প্রতীকের প্রথম দাবিদার ও হকদার একমাত্র বাংলাদেশ জাগ্ৰত পার্টি।
তবে মোবাইল ও কলম প্রতীক নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি।
প্রসঙ্গত, গত১৭ এপ্রিল নাগরিক ঐক্য ‘শাপলা’ প্রতীক চাওয়ায় বিষয় নিয়ে বিরোধ প্রকাশ্যে আসে৷ দুটি দলই প্রতীকটি চেয়ে একাধিকবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরবর্তীতে প্রতীকটি নির্বাচন বিধিমালার তফসিলে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ফলে শাপলা আর কোনো দল পাচ্ছে না৷