সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (IPC) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ)কে সহায়তা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এ উপলক্ষে ৮ জুলাই, মঙ্গলবার দুপুরে বিএমইউ ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম এর সাথে তার কার্যালয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধ দল সাক্ষাৎ করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ অফিসের টিম লিড হেলথ সিস্টেম সাঙ্গে ওয়াংমো'র (Sangay Wangmo, Team Lead Health Systems, WHO Country Office Bangladesh) নেতেৃত্বে সংস্থার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (IPC) এর ন্যাশনাল প্রোফেশনাল অফিসার কোয়ালিটি হেলথ সিস্টেমস ডা. মুরাদ সুলতান উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে বিএমইউ এর পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক তুহিন, ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুস শাকুর এবং পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এবং এর ল্যাবরেটরিসমূহকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (IPC) কে একটি জাতীয় মডেল হিসেবে রূপান্তর করতে বিএমইউ-এর সঙ্গে যুগপৎ কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এজন্য সংস্থাটি ঘনিষ্ঠভাবে মানব সম্পদ উন্নয়নে কাজ করবে এবং এমন একটি কার্যকর ও ব্যবহারিক IPC ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে।
এর মাধ্যমে সেবাদানকারীদের কার্যপদ্ধতি এবং রোগীদের চাহিদা উভয়কেই গুরুত্ব দিবে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে প্রকাশ, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (Infection Prevention and Control -IPC) সংক্রান্ত আচরণে টেকসই উন্নয়ন ঘটানো এবং দেশের অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি মানদ-দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থাপন করার পাশাপাশি সভায় সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টিকা প্রদান, সচেতনতা ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ হল একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা অনুশীলন যা রোগের বিস্তার রোধে সহায়তা করে। হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে রোগীদের এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপদ রাখতে IPC এর কার্যকর বাস্তবায়ন অপরিহার্য।