বিটিআরসি প্রস্তাবিত ট্যারিফ থেকেও ২০০ টাকা দাম কমালো আইএসপিএবি!

গ্রাহকের সেবার মান বজায় রাখতে গতি ৫ এমবিপিএসি গতি দ্বিগুণ করে ৫০০ টাকার ন্যূনতম প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। ১ জুলাই (মঙ্গলবার) থেকে কার্যকর ধরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ঘোষিত ৫ এমবিপিএস ৪০০ টাকার করার পরিবর্তে ৭০০ টাকার ফিক্সড ইন্টারনেট প্যাকেজ ৫০০ টাকায় দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়নের জন্য গত ১৮ মে বিটিআরসি থেকে আইএসপি-দের একটি ট্যারিফ দেয়া হয়েছিলো। ওই ট্যারিফে ন্যূনতম ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট ৪০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস সর্বোচ্চ ১১০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছিলো। তবে ৫ এমবিপিএস দিয়ে বর্তমানে মানসম্মত কোনো সেবা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় ৫ এমবিপিএস গতিকে ছুটিতে পাঠালো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা। পরিবর্তে ৭০০ টাকায় যে ১০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ গতির সেবা দেয়ার কথা ছিলো সেই সেবাই ২০০ টাকায় নামিয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
বিটিআরসি প্রস্তাবিত ট্যারিফ বাস্তব সম্মত না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত বলে জানাগেছে। এ সিদ্ধান্ত বিষয়ে আইএসপিএবি বলছে, বর্তমানে আইএসপি শিল্পে কোনও আইএসপি- থানা ভিত্তিক, জেলা ভিত্তিক, বিভাগীয় বা নেশন ওয়াইড আইএসপি ৫ এমবিপিএস-এর প্যাকেজ দেয় না। আইএসপিগুলো কমবেশি গড়ে ১০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ দিয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী আইএসপিএবি ৫০০ টাকা থেকে প্যাকেজ শুরু করতে যাচ্ছে।
আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেস্কে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় বিশ্বের ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও উপরে দেখতে চায় আইএসপিএবি। সেই আলোকে দেশের আইএসপিগুলো কোয়ালিটি অব সার্ভিস (মানসম্মত সেবা) এবং বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যেন আরও উপরের দিকে উঠে আসে সেজন্য ১০ এমবিপিএস দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে এবং সরকার যদি সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) ও রেভিনিউ শেয়ার (রাজস্ব ভাগাভাগি) প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে আইএসপিগুলো পরবর্তী সময়ে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা অনুযায়ী গ্রাহককে ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করতে পারবে বলে আশা পোষণ করে। সেই অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আমিনুল হাকিম আরও বলেন, বেশির ভাগ গ্রাহক মাসিক বিলের সাথে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। এই ভ্যাটটা আমরা আদায় করতে পারি না। আইএসপিএবির সদস্যরা একমত হয়েছে যে, সরকারের সাথে একসাথে কাজ করার লক্ষ্যে এবং দেশের উন্নতির জন্য রাজস্ব নিশ্চিত করতে গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেবে।
এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমের মাধ্যমে গ্রাহকদের লাইসেন্সধারী আইএসপির কাছ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ গ্রহণ এবং প্রতি সংযোগের মাসিক ফির সাথে বর্তমান সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রদান করতে এবং গ্রহকদের মাসিক বিল পরিশোধের সময় রিসিট প্রদান করতে আইএসপিদের অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিএবি।