ট্রাম্পের হুমকির পর খামেনির ক্ষুদে বার্তা

১৮ জুন, ২০২৫  
১৮ জুন, ২০২৫  
ট্রাম্পের হুমকির পর খামেনির ক্ষুদে বার্তা

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি হুমকির জবাবে এক কঠোর বার্তা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।সামাজিক মাধ্যম এক্সে খামেনির প্রোফাইল থেকে দেওয়া পোস্টে উল্লেখ করা হয়, জায়নিস্টদের কোনো দয়া দেখানো হবে না। মঙ্গলবার আলী খামেনির অবস্থান সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের করার পর এই প্রথম কোনো মন্তব্য করলেন তিনি।

১৭ জুন (মঙ্গলবার) এক্স (সাবেক টুইটার)–এ পোস্ট করে ট্রাম্পের বক্তব্যের জবাবে বিস্ফোরক বার্তায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খোমিনি লিখেছেন, “মর্যাদাবান হায়দারের নামে, যুদ্ধ শুরু হলো।” এই ঘোষণায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নয়, বরং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মানসিক প্রস্তুতিরই আভাস দিয়েছেন তিনি। তার এই পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনার নতুন ঢেউ তোলে।

https://x.com/realDonaldTrump/status/1935016557224050887?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1935016557224050887%7Ctwgr%5E36f6306fb646bf89fbafff79fbf9b5835c7aee40%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fpublish.twitter.com%2F

এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকটি উস্কানিমূলক পোস্ট দেন এক্সে। সেখানে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণভাবে লেখেন, “আমরা জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি খুব সহজ লক্ষ্যবস্তু।”

https://x.com/realDonaldTrump/status/1935016557224050887

ট্রাম্প আরও বলেন, “আমরা তাকে এখনই বের করে আনছি না, অন্তত এই মুহূর্তে নয়।” পাশাপাশি ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তার ভাষায়, “ইরানের আকাশসীমা আমাদের নিয়ন্ত্রণে। আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার!” অর্থাৎ তিনি ইরানের প্রতি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান, যা কার্যত যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এই মন্তব্যের পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিক্রিয়া আসে। তিনি স্পষ্ট বলেন, “আমাদের সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে। জায়ানবাদীদের কোনো দয়া দেখানো হবে না।”

ট্রাম্পের সরাসরি হুমকি এবং খামেনির ‘যুদ্ধ ঘোষণামূলক’ বার্তার ফলে ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে বড় ধরনের অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ইরান আগেই জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রতিশোধ নেবে। কিন্তু এবার ট্রাম্প ইরানের শীর্ষ নেতার ঠিকানা জানার দাবি করে যেভাবে তাকে টার্গেট করার হুমকি দিলেন, তা বিষয়টিকে কূটনৈতিক মাত্রা ছাড়িয়ে সামরিক সংঘাতের পথে ঠেলে দিচ্ছে।

সেই ধারাবাহিকতায় ইরান আর ইসরায়েলের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যেই ১৮ জুন (বুধবার) ভোররাতে পূর্ব ইংল্যান্ডের রয়্যাল এয়ারফোর্স লেকেনহিথ থেকে অন্তত চারটি এফ-৩৫ বিমান ঘাঁটি ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া ইরানের মাটির গভীরে তৈরি স্থাপনায় হামলা করতে পারে যে বি টু স্পিরিট বোম্বার বিমান, সেগুলোও ভারত মহাসাগরে ইরান থেকে চার হাজার কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে একটি ঘাঁটিতে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই বিমানগুলোর সঙ্গে একটি জ্বালানির ট্যাংকার বিমানও ছিল।

গত তিনদিনে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩০টি মিলিটারি বিমান যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্পেইন, স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।