নগদে নিয়োগে অনিয়ম
আতিক ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে দুদক

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এ নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির বনানীর প্রধান কার্যালয়ে রবিবার অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে নগদে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
অভিযান শেষে দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নগদের নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদ ও তাঁর স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
অন্যদিকে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, রেকর্ডপত্র পাওয়ার পর সেগুলো বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গত ৩০ মে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আতিক মোর্শেদ ভুয়া বিল-ভাউচারে নগদ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাশাপাশি ওই পোস্টে তার স্ত্রীর নগদে মেধা ও যোগ্যতার বলে চাকরি পেয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এসেছে। কাজটা ঠিক হয়নি—এটা আমি বিনাবাক্যে স্বীকার করছি।
তাকে প্রচণ্ড রকম বকাবকিও করেছি। উনার বউকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি আমি তদন্তের ব্যবস্থা করেছি, নির্দেশনা দিয়েছি।’