ফেসবুক-ইউটিউবে বেশুমার মিথ্যাচার হচ্ছে

১২ মে, ২০২৫  
১২ মে, ২০২৫  
ফেসবুক-ইউটিউবে বেশুমার মিথ্যাচার হচ্ছে

অনলাইনে সবাইকে সত্য লেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, আমরা চাই বাংলাদেশে মিডিয়া ফ্রিডমটা যেন ইনস্টিউটিউশনাল হয়। সবাই যেন কথা বলাটা শিখে। সবাই যেন গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু ইউটিউব-ফেসবুকে যা হচ্ছে; সকালের লেখা রাতে চেঞ্জ করছেন। এটা ভালো জার্নালিজম করে করা হচ্ছে না।  

সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানা তিনি। ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে পর্য ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সহ-সভাপতি গাজী আনোয়ার। 

সমালোচনায় চোখ খুলে দেয় উল্লেখ করে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, প্রতিদিন কতজন আমাদের নিয়ে কত মিথ্যা কথা বলে। কিন্তু আমরা কাউকে মুখ বন্ধ করে দেইনি। এটাও কিন্তু ওয়ান শর্টস অব জার্নালিজম সকালে একজন একরকম কথা বলেন। রাতে আরেক কথা বলেন। যদি ফেইলর হইদ অন্যায় করি লেখেন। কিন্তু মিথ্যা কথা লিখেন না।  

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের মুখ যেন বন্ধ করা না হয় সে জন্য সাইবর সিকিউরিটির ৯টি বিবর্তনমূলক ধারা বাদ দেয়া হয়েছে। ক্রিমিনালইজ বিষয়টি বাদ দেয়া হয়েছে। তাই সত্যটা লিখুন। 

মিট দ্য প্রেসে বক্তব্য শেষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের সদস্যদের অতিথিদের জন্য নতুন 'গেস্ট ক্যান্টিন' উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম। এসময় ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন; সাধারণ সম্পাদক পদে মাইনুল হাসান সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ,  কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুমন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মিট দ্য প্রেসে ড. ইউনূসের সময় গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি, গ্রামীণ ওয়ালেটসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনুমোদন ও বিশেষ সুবিধা নিয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আপনি দেখেন যে এখানে (অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে) অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বা ভূমিকা আছে কি না? আর যেসব প্রতিষ্ঠানের কথা বলছেন, সেগুলো কোনোটাই কি ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত কি না? এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তার কোনো শেয়ার আছে? এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কোনো সুবিধা পান? আসলে কি এগুলো ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান?

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিজস্ব কোনো সম্পত্তি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামীণ নামটা না হয় ড. ইউনূস দিয়েছেন। তিনি তো এসব প্রতিষ্ঠানের একটা শেয়ারের মালিক না। উনার ব্যক্তিগত কোনো সম্পত্তি বা শেয়ার আছে কোথাও, কেউ দেখাতে পারবেন না। এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার কোনো ভূমিকা রাখেনি। আমি সবাইকে এসব বিষয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানাই।

“গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি ২০০৯ সালে আবেদন করেছিল। ওই সময়ে ড. ইউনূস সৌদি আবর গিয়েছিলেন, সেখানে সৌদি ও জার্মানের একটা হাসপাতাল চেইন তাকে বলেছেন আপনি নার্স এবং হাসপাতাল স্টাফ পাঠান। তারা বাংলাদেশের নিয়মিত কর্মী পাঠানো এজেন্সির মাধ্যমে নেবে না। কারণ ড. ইউনূসের মাধ্যমে নিলে খরচ একদম সীমিত পর্যায়ে থাকবে। সেই আলোকে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে লাইন্সেসের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তারা অনুমোদন দেয়নি। এখন ২০২৪ সালের পর যদি লাইসেন্সের অনুমোদন পায় তাহলে দোষ কি? বাংলাদেশে এরকম সাড়ে ৩ হাজার এজেন্সি আছে”- যোগ করেন শফিকুল আলম।  

তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন ২০১২-১৪ সালের মধ্যে। ২০১৪ সালে পূর্বাচলে তার ২-৩শ বিঘা জমি কেনা হয়েছিল। তখন যতবারই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন, ততবারই তারা বলেছিলেন আবেদন জমা দিয়েন না। আমরা অনুমতি দিতে পারবো না। এখন গত ছয় মাস অডিট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।