ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নীতি উপদেষ্টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ৫ মার্চ থেকে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রযুক্তিবিদ ও প্রকৌশলী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। দায়িত্ব প্রাপ্তির পর সর্বোচ্চ সততার সঙ্গে এই খাতে 'মিনিংফুল পরিবর্তন' করতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শুক্রবার নিজেরে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ‘সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের ওয়াদা’ করে সকলের সমর্থন ও দোয়া চেয়েছেন ফয়েজ। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে এই পোস্টে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রিয়্যাকশন পড়ে। শুভকামনা, ভালোবাসা ও পছন্দের লাইক দেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির পর বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ সৌজন্য সাক্ষাত করেছে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইেজএফ) নির্বাহী সদস্যরা। বিআইজেএফ সভাপতি হিটলার এ হালিম ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসানের নেতৃত্বে অপর সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ফুলেল শুভেচ্ছাসহ সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইেজএফ) নির্বাহী সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিশেষ সহকারীর দপ্তরে।
এমন শুভকামনায় সিক্ত হওয়ার পরদিন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লেখা পোস্টের শুরুতে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন- “এতগুলো বছর লেখালিখি করি, কখনো হাত কাপেনি। দায়িত্ব পাওয়ার পরে প্রথম হাত কেঁপেছে। গেজেট প্রকাশের পরে শুধু ভাবছি, এই গুরুদায়িত্ব আমি কীভাবে পালন করবো! পারবো তো! বাংলাদেশের মানুষ, আমার এক্স বস নাহিদ ইসলাম এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূস স্যারকে এই আস্থার প্রতিদান দিতে! রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের এমন গুরুত্ব ও গভীরতার অনুভব আগে কখনো হয়নি, এভাবে।”
পোস্টোর বাকি অংশ নিজে হুবহু তুলে ধরা হলো-
''অভিনন্দন। আশা করি তুই দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারবি।........মনে রাখিস .....সবাই কিন্তু এই রকম সুযোগ পায় না......টেক কেয়ার
দোস্ত।.....লেট আস বিল্ড আওয়ার কান্ট্রি লাইক আওয়ার চিলড্রেন।''
আইডিয়াল স্কুলে আমি আর আদিল এক বেঞ্চে বসেছি বহু বছর। আদিল বহু বছর পরে গতকাল মেসেজ দিয়েছে। আমি বন্ধু আদিলকে উত্তর দিতে গিয়েও হাত কাঁপল। মাথা ভার হয়ে গেল!
কয়েক ঘণ্টার পরে লিখলাম ''দোয়া করবা যাতে সর্বোচ্চ সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারি।''
গত কয়েকদিনে হাজার হাজার মেসেজ পেয়েছি। আমি আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত, বিশেষভাবে বাংলাদেশের তরুণদের। আল্লাহ পাক আমাকে এই ভালোবাসার সর্বোচ্চ প্রতিদান দেওয়ার তওফিক দিন।
আমি চেষ্টা করবো আমার যোগদানের পূর্বে এবং পরের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটির মধ্যে 'মিনিংফুল পরিবর্তন' যেন সাধিত হয়। সেমতেই সব পলিসি গ্রহণ এবং আগের পলিসি চেঞ্জ করার চেষ্টা করবো। আমি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি ল্যান্ডস্কেইপ আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা করবো। আমার উদ্যোগ গুলো এক সপ্তাহের মধ্যেই ভিজিবল করে চেয়ার চেষ্টাটা থাকবে।
দায়িত্ব পাওয়ার পরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড মুহাম্মদ ইউনূস স্যার অভিনন্দন জানিয়ে আমার গুরুদায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। শ্রদ্ধেয় উপদেষ্টা এম ফাওজুল কবির খান স্যার ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, 'চেষ্টা করবা যাতে আমাদের সম্মান তুমি উজ্জ্বল করো। স্যারের নাম রাখো।'
নিজের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি, আমাকে পারতে হবে। আমাদের তরুণদের আত্মত্যাগের সুফল আনতেই হবে।