আরএএস প্রযুক্তিতে মাছ চাষ নিয়ে সভা করলো অগিলে রিসোর্সেস

অ্যাকুয়া প্রযুক্তির রিসার্কুলেটিং অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেমে (RAS) প্রচলিত খামারের তুলনায় মাত্র দুই শতাংশ জমিতে সম পরিমানের সুস্বাদু মাস উৎপাদনের করা যায়। এই প্রযুক্তিতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভূগ্ভর্স্থ পানি ব্যবহার করে মাছ চাষের পাশাপাশি গ্রিনহাউস পদ্ধতিতে একইসঙ্গে শাক-সব্জিও চাষ করা যায়। এই চাষাবাদ পদ্ধতিতে প্রতিদিন যে পরিমাণ পানি ও কার্বনডাই অক্সাইড নির্গত হয় তা গ্রিন হাউসে সরবারহ করে পুরো প্রক্রিয়াটিকে শতভাগ দূষণমুক্ত রাখে।
বৃহস্পতিবার গুলশানের এল আর ভিলা কনকর্ড হাউসের অগিলে রিসোর্সেস (Agile Resources) ইনকরপোরেশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এমনটাই তুলে ধরেন বক্তারা। আরএএস প্রযুক্তিতে মাছ চাষের প্রকল্প বিষয়ে বাংলদেশে এই শিল্পের সম্ভাবনা ও সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন নরওয়ের আরএএস প্রযুক্তি ও নলেজ শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান নোরাস ওয়াটারটেক এএস (NORAS Watertech AS)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নরওয়ের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়ান রাবে নায়েভেলসরুড (Marianne Rabe Knaevelsrud)। তিনি বাংলাদেশে এই প্রযুক্তি সংশ্লেষে ঢাকাস্থ নরওয়ের দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন৷ অন্যান্যের মধ্যে নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স ও ট্রেড অ্যাডভাইজর সাইয়েদ মুনতাসির বাইজিদ, অগিলে রিসোর্সেস ইন করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী প্রমুখ।
আলোচনা সভার সঞ্চালক ও প্রধান অতিথি ছিলেন অগিলে রিসোর্সেস প্রতিষ্ঠাতা প্রধার্ন নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান খান সোহেল (Quamruzzaman Khan Sohel)। সভায় আগ্রহী উদ্যোক্তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকিম আলী, শামসুজ্জামান খান, চেয়ারম্যান, এ. কে. খান অ্যান্ড কোং লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান খান, বিচ হ্যচারী লিমিটেডের প্রতিনিধি প্রমুখ।