বিটিআরসি-তে থানা আইএসপি ব্যবসায়ীদের ভীড়

৪ মার্চ, ২০২৫  
৪ মার্চ, ২০২৫  
বিটিআরসি-তে থানা আইএসপি ব্যবসায়ীদের ভীড়

ফের রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে জড়ো হয়েছেন থানা আইএসপি ব্যবসায়ীরা। নতুন লাইসেন্স নীতিমালায় নিজেদের স্বতন্ত্র অবস্থান অটুট রাখার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তারা বিটিআরসি ভবনের নিচ তলায় সমবেত হয়েছেন। সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বলে জানাগেছে। 

বেলা সোয় ১১টার দিকে বিটিআরসি ভবনের নিচে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে আগত তিন শতাধিক লাইসেন্সধারী ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানাগেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারীর কাছে লেখা স্মারক লিপি বিষয়ে জানতে তারা সমবেত হয়েছেন। গতকাল আবেদনকারীদের কারো কারো কাছে বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে ফোন দেয়া হয়েছিলো। তারা আশা করছেন, আজ কোনো ইতিবাচক উত্তর মিলবে। 

তবে ব্যবসায়ীরা এসে বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাদেরকে জানানো হয়েছে তিনি এখন স্পেনে রয়েছেন। মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সম্ভব না হলেও তারা কমিশনার বা ডিজি পর্যায়ের কোনো উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার কাছ থেকে উত্তর পাবেন। 

এ নিয়ে ওয়াইড কমিউনিকেশনের আনোয়ার আহমেদ মিঠু বলেন, লাইন্সিং প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে আমরা ইন্টারনেট সেবা দিতে চাই। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্মারকলিপি দেয়ার পর গতকাল বিটিআরসি থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিলো। ফোন নম্বর, কোম্পানির নাম নিয়েছে। আমার মনে হয়, আজকে এ নিয়ে আমাদের ব্রিফ করা হতে পারে। এ জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। তবে উদ্বেগ নিয়েই অনেকে আজ নিজ উদ্যোগে এখানে এসেছেন। আমরা যদি সার্টিফিকেশন বা এনলিস্টমেন্ট করা হলে এখন থেকে ১০ গুণ সার্ভিস প্রোভাইডার বাড়বে। এতে ব্যবসায়িক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার শঙ্কা রয়েছে।

দেশীয় উদ্যোক্তাদের মতামতকে আড়ালে রেখে নতুন কোন পলিসি গ্রহণযোগ্য হবে না। ওই সংস্কার প্রস্তাবনায় এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এবং জাতীয় স্বার্থে সুলভ মূল্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের মতামত ও ব্যপক অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে।

ডিজিটাল কমিউনিকেশনের আনোয়ার আহমেদ বলেন, এই সার্টিফিকেশনে সরকারও কোনো ভ্যাট ট্যাক্স পাবে না। লাইসেন্সিং হলে ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ সহজ হবে। একইসঙ্গে সেবার মানও বাড়বে। 

গাজীপুর আইএসপি’র স্বত্বাধিকারী সাঈদ ই আজম শাওন বলেন, দেশজুড়ে ১৮০০ থানা লাইসেন্সি আছে। তাদের পরিবার মিলে ১০ লাখ মানুষের জীবিকার সুরক্ষার জন্য থানা পর্যায়ের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সি হিসেবেই রাখতে হবে। 

এর আগে সর্বস্তরের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের পক্ষে বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে দেয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘দশ লাখ কর্মসংস্থানের এই ইন্ডাসট্রিতে জিডিপিতে আমাদের অবস্থান সহজেই অনুমেয়। অথচ, আজ কোনো অজানা গোষ্টির স্বার্থ রক্ষায় এত কর্মসংস্থান ও ত্যাগ-তিতিক্ষার এই শতভাগ দেশীয় ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংশের নীল নকশা করা হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রির বৃহৎ অংশীদার এই ব্যবসায়ীদের পাশ কাটিয়ে নতুন পলিসির মাধ্যমে শতভাগ দেশীয় ও পরিনত একটি ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংসের প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।