একুশে পদক গ্রহণ করলেন অভ্র’র চার নির্মাতাই

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  
একুশে পদক গ্রহণ করলেন অভ্র’র চার নির্মাতাই

জনপ্রিয় বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার ‘অভ্র কিবোর্ড’ তৈরির সাথে যুক্ত চার নির্মাতাকেই একুশে পদকে সম্মানিত করলো অন্তর্বর্তিকালীন বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভ্র তৈরির কারিগর মেহেদি হাসান খানের ও তার তিন সহযোগী রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম ও শাবাব মুস্তাফার হাতে  এ পদক তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২৫’ অনুষ্ঠানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে তাদেরকে এই সম্মাননা দেয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী,  চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান, সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া ও সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লাহ, ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) এর উত্তরসুরীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। 

এ ছাড়া সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম, চলচ্চিত্রে ফেরদৌস আরা, গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্যদের হাতেও এই রাষ্ট্রীয় সম্মাননা হস্তান্তর করা হয়েছে। জাতীয় ফুটবল দলের পক্ষে সাবিনা খাতুন ও মারিয়া মান্দার পদক গ্রহণ করেন। 

পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জাতির পথ প্রদর্শক। আপনাদের অবদানে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি দৃঢ় বিশ্বাসে জাতিপুঞ্জের মজলিসে ক্রমাগতভাবে উন্নততর অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী এবং সৃজনশীল। আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যেকোনো স্বপ্নের চাইতে দুঃসাহসী। তারা যেমন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, তেমনি একই আত্মবিশ্বাসে নতুন পৃথিবীর সৃষ্টি করতে চায়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে তরুণরা নেতৃত্ব দিতে চায়, নেতৃত্ব দিতে তারা প্রস্তুত। তারা ঘুণে ধরা আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তাদের স্বপ্নের নতুন সভ্যতা গড়তে চায়। সেই সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সকল সম্পদের ওপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন দেখার এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সব সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমন করে গড়ে তোলা যাতে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনোরকম বিকৃত না হয় এবং পৃথিবীর ওপর বসবাসরত সব প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা কোনোক্রমেই বিঘ্নিত না হয়।