সমালোচনার মুখে পরিমার্জিত হলো সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫

সচেতন নাগরিকদের আপত্তির মুখে সংশোধিত হয়েছে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের বেশ কিছু বিষয়। যুক্ত হয়েছে কয়েকটি নতুন ধারাও। সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ রহিত করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ বাস্তবায়নের পথে হাটতে শুরু করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে বুধবার বিকেলে আইসিটি টাওয়ারে পরিমার্জিত অধ্যাদেশ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ব্রিফ করবেন আইসটি সচিব শীষ হয়দার চৌধুরী।
অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করণের কপিতে দেখা গেছে, এটি থেকে সন্ত্রাস বিরোধী ধারা ২৭ বাদ দিয়ে যৌন হয়রানি যুক্ত করা হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে সাইবার বুলিং। এছাড়াও ৮ এর ৩ উপধারায় কন্টেন্ট ব্লক করা হলে স্বচ্ছতার স্বার্থে সরকার সকল ব্লক হওয়া কন্টেন্টের তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশের ধারা যুক্ত করা হয়েছে নতুন করে। বলা হয়েছে, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের মহাপরিচলকের একক ক্ষমতা খর্ব করে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও উপযুক্ত প্রতিনিধিকে গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কো-অপ্ট করার বিধান যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ সাইবার কাউন্সিল এ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা আছে নতুন অধ্যাদেশে।
এছাড়াও ব্যাপক সমালোচনার মুখে সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইস জব্দ হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করার বাধ্যবাধকতা, বিনা ওয়ারেন্টি গ্রেফতার সংকুচিত করে শুধুমাত্র ক্রিটিকাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা আইআইআই হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে ধার্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ অফিসারকে কোনো কিছু জব্দ করতে হলে এর সপক্ষে লিখিত কারণ দেখানোর বাধ্যাবাধকতা যুক্ত করা হয়েছে ৩৬ তম ধারায়।
পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় পত্র বিকৃত করাকে সাইবার অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ধর্মের পাশাপাশি জাতিগত ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রকাশকে দণ্ডের অধীনে আনা হয়েছে।