চুয়েটে রিসার্চ স্কোপ এক্সপ্লোরেশন মিট অনুষ্ঠিত

গবেষণার ক্ষেত্র উন্মোচন করতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ও জাপানের নিউ স্পেস ইন্টেলিজেন্স ইনকর্পোরেটেডের (এনএসআই) মধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার রিসার্চ স্কোপ এক্সপ্লোরেশন মিট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সভায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন জাপানের নিউ স্পেস ইন্টেলিজেন্স ইনকর্পোরেটেড (এনএসআই) এর মার্কেটিং এন্ড বিজনেস স্ট্রেটেজি বিভাগের পরিচালক ড. নিক বড়ুয়া এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এনএসআই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাপানের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন ফর স্যাটেলাইট রিমোট সেন্সিং এর পরিচালক ও জাপানের ইয়ামাগুচি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাসাহিকো নাগাই।
রিসার্চ স্কোপ এক্সপ্লোরেশন মিট এর মাধ্যমে চুয়েট ও ইয়ামাগুচি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাগা ল্যাবের সাথে চুক্তি সাক্ষর করার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়েট, রুয়েট ও ইউএসটিসি এর সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, স্যাটেলাইট গবেষণা আমাদের পৃথিবী এবং মহাবিশ্বকে উপলব্ধি করা ও এর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্লেষণ, টেলিকমিউনিকেশন, নেভিগেশন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। মহাকাশ অনুসন্ধানেও স্যাটেলাইট সহায়তা করে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তায় উন্নয়নের পথ সুগম করে।
তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময়। ভবিষ্যতে স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন-এর মাধ্যমে স্পেস-ভিত্তিক ৫জি নেটওয়ার্ক সারা পৃথিবী জুড়ে দ্রুত ডেটা স্থানান্তর করবে এবং দূরবর্তী স্থানেও নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করবে।