সনাক্ত করা যায়নি ৭ শিশু’র লাশ; ডিএনএ টেস্টের পর মরদেহ হস্তান্তর

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে, তাদের মরদেহ অতিসত্বর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর যাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যাবে না তাদের মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে পরবর্তীতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২১ জুলাই সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন। চিকিৎসা কাজ নির্বিঘ্নে করার স্বার্থে হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার জন্য সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এর আগে বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার কাজ নির্বিঘ্নে করার স্বার্থে হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করতে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।।
এদিকে রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭ জন মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও আইএসপিআর বলেছে, নিহতের সংখ্যা ২০। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের মধ্যে ৭ জন শিশু এতটাই পুড়েছে যে, তাদের (চেহারা বা অবয়ব) শনাক্তই করা যায়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাতটি লাশ শনাক্ত করা যায়নি। এগুলো অ্যাবসোলিউটলি দেহাবশেষ। তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।
বিশেষ সহকারী বলেন, ১৭ জন মারা গেছেন। আমাদের তথ্যমতে প্রত্যেকেই শিশু। যারা পুড়েছেন, তাদের মধ্যে বেশি বয়সী শুধুমাত্র উদ্ধারকর্মী, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, দুজন শিক্ষক এবং একজন স্টাফ। এছাড়া বাকি সবাই শিশু। শিশুর সংখ্যা একশোর বেশি। এদের অল্পসংখ্যক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গিয়েছেন। বেশি বয়সী ১৫ জনের মতো আছেন।
তিনি জানান, সাতটি হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি আছে। এখন প্রধানত জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি বেশি।
যারা প্রাথমিকভাবে এসেছেন, তাদের মধ্যে ৪৪ জন ভর্তি আছেন। এছাড়া তিনজন মারা গেছেন। বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে একজন মারা গেছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সিএমএইচে ১২ জন মারা গেছেন। সবমিলিয়ে ৮৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মারা গেছেন ১৭ জন। যদিও অনেকে ১৯ বা ২০ জনের মৃত্যুর কথা বলছেন, তা আমরা নিশ্চিত করছি না। তবে এটি ভিন্ন হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের নয়জন আইসিইউতে ভেন্টিলেট করা আছে। আরও ঢামেক এবং এখানে প্রস্তুত আছে।