নীলক্ষেতে নাগরিক সেবাকেন্দ্র উদ্বোধন

গুলশান ও উত্তরার পর রাজধানীর নীলক্ষেতের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনে (বিটিসিএল) চালু হলো নাগরিক সেবা কেন্দ্র। ২০ জুলাই রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নীলক্ষেত ১৮ নং ওয়ার্ডের এই সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে, সরকারি সেবাকে নাগরিকদের কাছে আরও সহজলভ্য ও ভোগান্তিমুক্ত করতে চালু হওয়ায় এই সেবাকেন্দ্র থেকে নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, জন্ম নিবন্ধন সংশোধনসহ সরকারি ও বেসরকারি সেবা পাওয়া যাবে। এখানে এক ছাদের নিচে মিলবে মোট ৮১টি নাগরিক সেবা।
নাগরিক সেবাকেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর অচিরেই সরকারের যাবতীয় ডিজিটাল সুবিধা ‘নাগরিক সেবা কেন্দ্রের’ আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, প্রতিটি নাগরিক সেবাকেন্দ্র প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তা দ্বারা পরিচালিত হবে, যারা নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
তিনি বলেন, নাগরিক সেবা কেন্দ্র ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে এটুআইয়ের উদ্যোগে সারাদেশে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) চালু করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। এই সেন্টারগুলোতে সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠা এবং উদ্যোক্তাদের অনেকেই এটিকে দলীয় ব্যবসায় বানিয়ে ফেলায় ইউডিসিগুলোতেও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমাতে, হয়রানির অভিযোগ ওঠে। অক্টোবরে বাংলাদেশের ৪৫৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিচালিত জবরদস্তিমূলক শ্রমের মাধ্যমে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত ইউডিসি পরিচালকদের চুক্তিপত্র বাতিল করে সরসারি নিয়োগ প্রদান ও রাজস্বখাতে স্থানান্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে আন্দোলন শুরু করেন ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা । এমন পরিস্থিতে নাগরিক সেবা সহজ করতে ‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’স্লোগানে গত ২৬ মে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নাগরিক সেবা কেন্দ্রের পাইলট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।