নগদের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

ঢাকার বনানী এলাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে মোবাইল ফিন্যানিন্সয়াল প্রতিষ্ঠান নগদ-এর সদর দফতরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সংস্থাটির তিন জন তদন্ত কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তারা ২০১৯ সাল থেকে মালিকানা বিষয়ক কাগজ এবং গ্রাহকের ডাটা চেয়েছেন।
জানাগেছে, অভিযানের সময় নগদ প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারমহ পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না। ফলে কোম্পানিটির অনেক বিষয়েই দুদক কর্মকর্তাদের বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তারা। কর্মকর্তারা জানতে চান, একটি এনআইডি’র বিপরীতে একাধিক হিসাব এবং বেদেশী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোম্পানি গঠনের সময়ে ছিলেন না উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ঘেঁটে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য নেয়ার কথা বলেন।
এ নিয়ে নগদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়োগকৃত প্রশাসকের সব কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ গত ১৫ জানুয়ারি এ আদেশ দেন। এর পর দিন আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগদ লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডারদের পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম খান দাউদ।
প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক এক বছরের জন্য ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ দেয়। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। সেই সঙ্গে তাকে সহযোগিতার জন্য নগদ ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে আরও ছয় কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়। ওই দিন নগদের আগের পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়। অপরদিকে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম রিট আবেদন করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নগদে প্রশাসকের সব কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছিলেন।