রাজস্ব আদায়ে ডিজিটাল পদ্ধতি দাবি করেছে আইবিএফবি

প্রস্তাবিত ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সবুজ প্রযুক্তি ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ এবং ই-কমার্স খাতকে আনুষ্ঠানিকীকরণের অধীনে আনলেও বেসরকারি খাত উপেক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি প্রস্তাবিত বাজেট ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহিত করছে বলে মনে করছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)।
বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে বেসরকারি খাতের প্রণোদনা এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
আইবিএফবি বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি খাত উপেক্ষিত। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, রপ্তানিকারক ও স্টার্টআপদের জন্য কার্যকর প্রণোদনা নেই। গবেষণা, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ নেই। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমও অপ্রতুল।
এছাড়াও টার্নওভার ট্যাক্স ০.৬% থেকে ১% এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কর ৫% থেকে ১৫% – এই বৃদ্ধিগুলি নবীন উদ্যোক্তাদের বাধাগ্রস্ত করবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সংগঠনটি।
তবে প্রস্তাবিত বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য গঠিত এক হাজার কোটি টাকার তহবিল নারীর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করবে বলে জানায় আইবিএফবি। এ ছাড়া কাঁচামাল ও ওষুধে শুল্ক কমানো, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে ই-বাইকে প্রণোদনা দেওয়া, ই-কমার্স খাতকে কর ও নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) পাঁচ হাজার ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া ইতিবাচক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি।
বাজেটে বিবেচনার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইবিএফবি। সংগঠনটি বলেছে, রাজস্ব আদায়ে ডিজিটাল পদ্ধতি ও ন্যায্য করনীতি নিশ্চিত করতে হবে। বেসরকারি খাতকে উদ্দীপ্ত করতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ঋণ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা প্রয়োজন।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে বাজেটে বিবেচনার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আইবিএফবি বলেছে, রাজস্ব আদায়ে ডিজিটাল পদ্ধতি ও ন্যায্য করনীতি নিশ্চিত করতে হবে। বেসরকারি খাতকে উদ্দীপ্ত করতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ঋণ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা প্রয়োজন।
প্রস্তাবিত বাজেটে কাঠামোগত সংস্কারের অভাব আছে বলে উল্লেখ করে আইবিএফবি বলেছে, বাজেট প্রস্তাবে কর প্রশাসন, ঋণ টেকসই করা ও সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনার মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব নেই। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ, সুদহারজনিত সমস্যা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিষয়েও দিকনির্দেশনা নেই।
প্রস্তাবিত বাজেটের কয়েকটি বিষয় ইতিবাচক উল্লেখ করে এর প্রশংসা করেছে আইবিএফবি। সংগঠনটি বলেছে, সরকার ২০২৬-২৭ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। কম আয়ের মানুষের জন্য এটি স্বস্তির খবর। পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার করাকে সম্মানজনক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি।