৭ পিএসটিএন লাইসেন্স বাতিল, রইলো বাকি ৩

২১ জানুয়ারি, ২০২৫  
৭ পিএসটিএন লাইসেন্স বাতিল, রইলো বাকি ৩

মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাতটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানের পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। লাইসেন্স বাতিল হওয়া সাত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- টেলিবার্তা লিমিটেড, র‍্যাংকস টেলিকম লিমিটেড, ন্যাশনাল টেলিকম লিমিটেড, বাংলা ফোন লিমিটেড, ওয়েসটেক লিমিটেড, ওয়ানটেল কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস লিমিটেড।

এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল এবং চট্টগ্রামের এসএ টেলিকম এবং ঢাকার নেক্সটেল এর লাইসেন্স এখনো বলবৎ রয়েছে। বিটিআরসি’র ৩০ অক্টোবর ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিটিসিএল এর পিএসটিএন লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিলো ওই বছরেরই ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর এস এ টেলিকমের লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ও নেক্সটেল টেলিকম লিমিটেডের ১৩ এপ্রিলে।

বিটিআরসির লাইসেন্সিং শাখার পরিচালক এম এ তালেব হোসেনের সোমবার (২০ জানুয়ারি) সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বাতিল লাইসেন্সের মূল সনদ কমিশন বরাবর জমা প্রদানসহ কমিশনের সব পাওনা (বকেয়া যদি থাকে) আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক নবায়নের জন্য আবেদন না করায় ওই সাত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সসমূহ মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে বাতিল করা হলো। বাতিলকৃত লাইসেন্সের অধীনে যেকোনো কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে অবৈধ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

প্রসঙ্গত, পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক বা পিএসটিএন বলতে বোঝায় মূলত সার্কিট পরিবর্তন করা। আন্তর্জাতিক ফোনকলের ক্ষেত্রে ল্যান্ডফোনের সংযোগ পাওয়ার জন্য একটি কলকে স্থানীয়, দেশি ও বিদেশি সার্কিট পরিবর্তন করতে হয়। এই সার্কিট পরিবর্তনের জন্যই একই দেশের অন্য প্রান্তে বা বিদেশে কল করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দুটি কোড নম্বর ডায়াল করতে হয়। একটি হলো নিজ দেশের কোড নম্বর, আরেকটি যে দেশে কল করা হচ্ছে সে দেশের।

কয়েক দশক আগেও প্রতিটি ফোনকলের জন্য কপারের তার দরকার হতো। তাই অপারেটর প্রয়োজন হতো। অপারেটররা সুইচ বোর্ডের মাধ্যমে একটি তারের সঙ্গে অন্য তার যুক্ত করে দিত। এভাবেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিদেশে টেলিফোন করা সম্ভব হতো।

কপারের তারগুলোর ভাড়া ধরা হতো বলে এভাবে আন্তর্জাতিক কল করতে খরচও হতো বেশি।ফাইবার অপটিক ক্যাবেলর সাহায্যে এখন একই সঙ্গে হাজারখানেক কল একই তারে ঢুকতে পারে। এ কারণে দেশের বাইরে কল করলে এখন শুধু কোড নম্বর যুক্ত করলেই চলে।