স্মার্ট টিভি সিস্টেম ও অ্যাপ স্টোর থেকে উধাও টিকটক

স্মার্ট টিভি থেকে অনেকটা গোপনেই উধাও হয়ে গেছে টিকটক। নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন স্মার্ট টিভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক সরিয়ে ফেলেছে। স্যামসাং, এলজি, ভিজিও, অ্যামাজন, গুগল ও অ্যাপলসহ বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছে। ১৯ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে অ্যাক্সিওস।
এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ আলোচনা ছিল মোবাইল অ্যাপ নিয়ে, তবে স্ট্রিমিং টিভি প্ল্যাটফর্মগুলো থেকেও টিকটক সরিয়ে ফেলা বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি প্রমাণ করে যে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন আইন মেনে চলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে বলেছেন যে, ৭৫ দিনের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না, তবু বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এখনই টিকটক সরিয়ে ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় তিনটি স্মার্ট টিভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলজি, ভিজিও ও স্যামসাং তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক মুছে ফেলেছে। এলজি স্মার্ট টিভি ব্যবহারকারীদের জানানো হয়েছে যে ১৯ জানুয়ারি থেকে টিকটক অ্যাপ আর এলজির কনটেন্ট স্টোরে থাকবে না। অ্যামাজন তাদের ফায়ার টিভি প্ল্যাটফর্ম থেকেও টিকটক সরিয়েছে। বর্তমানে অ্যামাজনের অ্যাপ স্টোরে গেলে ব্যবহারকারীরা “ভৌগলিক সীমাবদ্ধতার কারণে আপনি এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন না” বার্তা পাচ্ছেন।
গুগল তাদের গুগল প্লে স্টোর থেকে টিকটক সরিয়েছে, যা গুগল টিভি এবং অ্যান্ড্রয়েড টিভি প্ল্যাটফর্মেও প্রভাব ফেলেছে। সনি ও শার্পের মতো স্মার্ট টিভি নির্মাতারা এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। অন্যদিকে, অ্যাপলও তাদের টিভি অপারেটিং সিস্টেম থেকে টিকটক সরিয়ে ফেলেছে।
টিকটক এবং গুগল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে, অ্যাপল, অ্যামাজন, এলজি, ভিজিও ও স্যামসাং এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বর্তমানে ওরাকল ও আকমাই-এর মতো কিছু ক্লাউড পরিষেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টিকটককে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে বিশাল অঙ্কের জরিমানার ঝুঁকি রয়েছে। ১৯ জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর, ২০ জানুয়ারি গুগল ও অ্যাপল তাদের মোবাইল অ্যাপ স্টোর থেকেও টিকটক সরিয়ে ফেলে। ফলে বর্তমানে মোবাইলে টিকটক নতুন করে ডাউনলোড করা যাচ্ছে না। কেবলমাত্র যারা আগে থেকেই অ্যাপ ইনস্টল করে রেখেছেন, তারা এটি ব্যবহার করতে পারছেন।
এখন দেখার বিষয়, টিকটক এই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কীভাবে বাজারে ফিরে আসে এবং কোম্পানিগুলো কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়।