প্রতি বছর ১৬ মে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক আলোক দিবস পালন করে ইউনেস্কো। এ বছর দুই দিন ধরে দিবসটি উদযাপন করছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি। আয়োজনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগারে আয়োজন করা হয় আলোর দ্যুতি ও শিশু-কিশোরদের আলোক ভাবনা।
আয়োজনে অনলাইনে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে ২৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। এতে আজকের আলোর দ্যুতিতে স্কুল-কলেজের বইয়ে পড়া আলোর নানা ধর্ম ও বৈশিষ্ট শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে দেখানো হয়। দেড় ঘণ্টার এই লেকচারে শিক্ষার্থীরা সামনাসামনি এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে দেখানো হয় আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, বিচ্ছুরণ, ব্যাতিচার, পূর্ণ অভ্যন্তরীন প্রতিফলন, ফাইবার অপটিক ক্যাবল, পেরিস্কোপ, রঙের মিশ্রণ, শোষণ।
আলোর দ্যুতির শেষে ছোট্ট একটি কুইজের মাধ্যমে ৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এছাড়াও শিশু-কিশোরদের আলোর ভাবনা অংশে হিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের আন্নাফি আদ্দার স্যাম আলোর উৎস নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেয়। যেখানে সে আলোর বিভিন্ন উৎসের কথা তুলে ধরে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে ৬০টির বেশি দেশে উদযাপিত হচ্ছে এবারের আলোক দিবস। বিজ্ঞান, শিল্প, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন থেকে শুরু করে চিকিৎসাশাস্ত্র, যোগাযোগ এমনকি শক্তির উৎস হিসাবে আলোর ভূমিকা ও বহুমুখী প্রয়োগ অনুধাবন ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে এই দিবসের উদযাপন সমন্বয় করছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি।
আলোক দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৭ মে) অধ্যাপক মুহম্মদ একটি বিজ্ঞান বক্তৃতা প্রদান করবেন। “দেখা আলো না দেখা রূপ” নামের এই বক্তৃতায় আমাদের জীবনের সঙ্গে আলো যে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে তা তুলে ধরবেন। বক্তৃতাটি আয়োজন করছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিকরণ সমিতি, সহায়তা করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। উল্লেখ্য, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সভাপতি। আয়োজনটির সহ-আয়োজক বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। পার্টনার হিসেবে আছে বিজ্ঞানচিন্তা, কিশোর আলো এবং নাগরিক টিভি।
বক্তৃতাটিতে ইতোমধ্যে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনকৃতরা অংশ নিতে পারবে। তবে বক্তৃতাটি অনলাইনে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির ফেসবুক পেইজে লাইভ করা হবে। ফেসবুক পেইজের ঠিকানা: fb.com/SPSBZone।