পরবর্তী প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল প্রসেসর আনার কথা জানিয়েছে কোয়ালকম। স্ন্যাপড্রাগন এইট জেন ফোর নামে এটি বাজারে আসবে। নতুন এ প্রসেসরের বৈশিষ্ট্য ও কর্মক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। খবর গিজমোচায়না।
টিপস্টার ডিজিটাল চ্যাট স্টেশনের তথ্যানুযায়ী, পূর্বে ফাঁস হওয়া বেঞ্চমার্কগুলো এইট জেনারেশন ফোরের লো-ফ্রিকোয়েন্সি ইঞ্জিনিয়ারিং নমুনার ওপর তৈরি করা হয়েছিল। তবে স্থিতিশীলতা পরীক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত প্রাথমিক সিলিকন প্রায়ই কম গতিশীল হওয়ায় বিষয়টি স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, সম্প্রতি যে সংখ্যাগুলো দেখা যাচ্ছে তা চূড়ান্তভাবে ব্যবহার নাও হতে পারে।
টিপস্টারের প্রকাশ পাওয়া নতুন বিবরণ অনুসারে স্ন্যাপড্রাগন এইট জেন ফোরের সর্বশেষ সংস্করণে একটি”২+৬”কোর আর্কিটেকচার রয়েছে। ‘২’ সম্ভবত উচ্চ-পারফরম্যান্সকারী কোরগুলোর একটি জোড়াকে বোঝায়, যার কারণে প্রসেসরের ক্লক স্পিড ৩ দশমকি ৬ গিগাহার্জ থেকে ৪ গিগাহার্জ পর্যন্ত বাড়বে।
বাকি ছয়টি সম্ভবত ইফিসিয়েন্সি কোর। যদিও টিপস্টার ক্লক স্পিডের কোনো তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি। তবু একক-কোরে প্রায় ২ হাজার ৭০০ পয়েন্ট এবং গিকবেঞ্চ সিক্সে মাল্টি-কোরে প্রসেসরটি ১০ হাজার পয়েন্ট পেয়েছে বলে দাবি সংশ্লিশষ্টদের।
ফাঁস হওয়া তথ্যমতে, নতুন চিপচালিত প্রথম স্মার্টফোনটি অক্টোবরের মাঝামাঝি উন্মোচন করা হতে পারে। কোয়ালকমের সর্বশেষ হাই-এন্ড প্রসেসরগুলো শাওমি ও ওয়ানপ্লাস ব্যবহার করেছে। প্রকৃতপক্ষে, শাওমি অক্টোবরে ১৫ সিরিজের স্মার্টফোন উন্মোচন করবে বলে গুঞ্জন রয়েছে। সম্ভবত এ সিরিজেই প্রথমবারের মতো স্ন্যাপড্রাগন এইট জেনারেশন ফোর প্রসেসর ব্যবহার করা হবে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তিবিদরা।
ডিবিটেক/বিএমটি