বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এবারের এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মিলনমেলা হিসেবে খ্যাত জাপান আইটি উইক-এ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।জাপানের টোকিও বিগসাইটে বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। মেলায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর এবং বাংলাদেশ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর ২১টি সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে।
সূত্রমতে, এবারের জাপান আইটি উইকে বেসিসের সদস্য ১৬টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে নিজেদের সেবা প্রদর্শন করবে। প্রতিষ্ঠান গুলো হলোঃ ন্যাসেনিয়া লিমিটেড, ব্রেইন স্টেশন ২৩ পিএলসি, কাওয়াই অ্যাডভান্সড টেকনোলজি অ্যান্ড সলিউশন লিমিটেড, বিজেআইটি লিমিটেড, ড্রিমঅনলাইন লিমিটেড, এট্রাবিট আইসিটি সলিউশন, এডুসফট কনসালট্যান্টস লিমিটেড, বাইনেট সলিউশন্স লিমিটেড, ফ্রনচার টেকনোলজিস লিমিটেড, এসটিআইটিবিডি, পেন্টা গ্লোবাল লিমিটেড, ন্যানোসফট সিস্টেম, হ্যালো ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, বিডিকলিং আইটি লিমিটেড, ইন্টেলিয়ার লিমিটেড এবং রেভো ইন্টারেক্টিভ।
প্রথম দিনে ভিজিটর হিসেবে অংশ নিচ্ছেন বেসিসের পাঁচটি সদস্য প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলোঃ প্রাইডসিস আইটি লিমিটেড, দেশলিংক লিমিটেড, কিউ এ হার্বার লিমিটেড, বিটেক্স টেকনোলজিস লিমিটেড এবং হাইপার ট্যাগ সলিউশন্স লিমিটেড।
অপরদিকে বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনের নেতৃত্ব এবং সার্বিক দিকনির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির এ মেলায় অংশগ্রহণকারী বাক্কোর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, ফিফোটেক, অডিন আউটসোর্সিং, ইগনাইট টেক সল্যুশনস, সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড, ডিজিকন টেকনোলজিস পিএলসি, এবং এস টি রিলায়েন্স অ্যাসোসিয়েটস।
বাংলাদেশ থেকে জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণে সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করেন বেসিস পরিচালক ও বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: আপনার আইটি গন্তব্য’ শীর্ষক সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. আরিফুল হক এবং ডেসটেনি ইংক-এর সিওও রেজওয়ানুর কবির।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ। সেমিনারে বক্তারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করার গুরুত্ব সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন এবং দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির সমূহ সম্ভাবনাকে সকলের সামনে তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল পাওয়ার হাউজে রূপান্তরিত করার যে পদক্ষেপ বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরে যে সকল প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রয়োজন তা অর্জনে করণীয় সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি সেবা রপ্তানির জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ একটি মার্কেট, ব্যাক অফিসের মত নন ভয়েজ কাজগুলো জাপান মার্কেটে রপ্তানি করে আসছে বাক্কো সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো। আমরা আশা করছি এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা রপ্তানির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে”।
এছাড়াও মেলায় সারা বিশ্ব হতে আগত বহুসংখ্যক কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শন করে উপস্থাপিত সেবা সমূহের বিষয়ে জানতে পেরে চমৎকৃত হয়েছেন এবং এ-সকল সেবা গ্রহণে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বেসিস সচিবালয় থেকে জানানো হয়, জাপানের এই ট্রেড শোতে অংশগ্রহণকারি বেসিস সদস্যরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিটুবি মিটিং, সেমিনার, এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও, অংশগ্রহণকারী স্টল গুলোতে বেসিস সদস্যদের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য এবং পরিষেবা সম্পর্কে জানানো এবং বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্র্যান্ডিং করার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারি-তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই মিলনমেলা।
মেলার অংশ হিসেবে বুধবার জাপান আইটি উইক ২০২৪-এ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: আপনার আইটি গন্তব্য’ শীর্ষক আয়োজিত হয়। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আরিফুল হক এবং ডেসটেনি ইংক-এর সিওও রেজওয়ানুর কবির। অনুষ্ঠিত আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ, এনডিসি।
সেমিনারে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারিদের জন্য পরবর্তী গন্তব্য হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যেকোনো আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও সেবা প্রদানে সক্ষম। আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার ও অ্যাপ মার্কেটেও বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়।