ইয়ুথ ফর বেটার ফিউচার সোসাইটির আয়োজনে রাজধানীর তোপখানায় অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) অডিটোরিয়ামে ফার্মাসি অনুষদের শিক্ষার্থদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো দেশের প্রথম ফার্মা সামিট ২০২৪। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এই ঔষধ শিল্প ক্যারিয়ার মেলায় নর্থ সাউথ, ব্রাক, ড্যাফোডিল, ইস্ট-ওয়েস্ট, নর্দান, সোনারগাঁও, সাউথইস্ট, মানারাত, ওয়ার্ল্ড, বিইউবিটিসহ দেশের ৫০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মা অনুষদের এক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সামিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, দেশ গঠনে ফার্মা শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বাংলাদেশের ওষুধ বিশ্বের ৬৭টি দেশে রপ্তানি হয়। এ অবস্থায় অন্যান্য সেক্টরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফার্মাসিস্টরা যত দক্ষ হবেন, দেশ ততো উন্নত হবে।
চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, দেশ গঠনে ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা অনেক বেশি। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ফার্মা অনুষদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ আবশ্যক। দেশের অন্যান্য সেক্টরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফার্মাসিস্টরা যত বেশি দক্ষতা অর্জন করবেন, সে দেশ ততো বেশি উন্নত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওষুধশিল্প অনেক এগিয়ে আছে। প্রায় ৬৭টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি নিজেকে সৎ ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
সামিটে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ওয়াইবিএফ সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, একদিন তোমরা স্বনামধন্য ফার্মাসিস্ট হয়ে দেশের নাম বিশ্বের বুকে উজ্জ্বল করবে। দেশে যে কোনো ধরনের মহামারি এলে সে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ওষুধ আবিষ্কার করে সব শ্রেণিপেশার মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। তবে ভালো ফার্মাসিস্ট হওয়ার পাশাপাশি তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে।
এসময় তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা করেন। একই সঙ্গে ওয়াইবিএফের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজনের আশ্বাস দেন।
ওয়াইবিএফের সেক্রেটারি জুবায়ের সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুল মাজিদ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এইচআর এডমিন হাবিবুল হাসান সাইমন, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের সিনিয়র প্রোডাকশন ম্যানেজার বিএম আফসুন আক্তার এনি প্রমুখ।