অপারেটর বদলে পছন্দের শীর্ষে রবি। গত এক বছরে নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল (এমএনপি) করেছেন মোট ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৫০ জন। এক্ষেত্রে রেকর্ড পরিমাণ ৮০ শতাংশের বেশিই গ্রহাক রবি অপারেটরকে বেছে নিয়েছে। অন্য অপারেটর থেকে রবি-তে এসেছে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ১৬ জন গ্রাহক।
তবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্রাহকও রবি বেছে নেয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর দেশে এমএনপি চালুর পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এমএনপি সেবার নেয়ার চেষ্টা করেও সফল হননি ২ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩৩ জন গ্রাহক। এরমধ্যে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৫ জন্য গ্রাহক ছিলেন যারা রবিতে আসতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন।
এ বিষয়ে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, এমএনপি নিয়ে বিটিআরসির প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রমাণ করে, রবি এখন দেশের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ডিজিটাল ব্র্যান্ড। যদিও নানা কারিগরি জটিলতায় এমএনপির মাধ্যমে রবি নেটওয়ার্কে আসতে ইচ্ছুক ৫০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের আবেদন গত এক বছরে সফল হয়নি।
তিনি বলেন, বিশেষ করে করপোরেট গ্রাহকেরা এমএনপির মাধ্যমে অপারেটর পরিবর্তনে অনেক ক্ষেত্রেই হয়রানিতে পড়ছেন। যে সব কারণে গ্রাহকেরা এমএনপি সেবা নিতে পারছেন না সেগুলো দূর করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও এমএনপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান একটু সচেষ্ট হলে এমএনপি সেবা আরও সফল হবে।
প্রসঙ্গত, গত এক বছরে নম্বর অপরিবর্তিত থেকে গ্রামীণফোনে এসেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৭৯ জন গ্রাহক। আর বদল করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন ৫৮ হাজার ৭৩৯ জন গ্রাহক।
অপরদিকে এমএনপি সুবিধা নিয়ে বাংলালিংকে যুক্ত হয়েছে নতুন ৬৮ হাজার ৫২৮ জন গ্রাহক। আর আসতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন ২৮ হাজার ১৯০ জন বাংলালিংক প্রিয় গ্রাহক।
রাষ্ট্রীয় অপারেটর এমএনপি টেলিটকে যুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪২৭ জন গ্রাহক। আর এই অপারেটর নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন এক হাজার ১৩৯ জন গ্রাহক।