রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হল ‘ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড ইনোভেশন এক্সপো -২০১৯’। দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে তিন দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পণ্য ও সেবার এই প্রদর্শনী।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই প্রদর্শনী শুরু হলেও এদিন দুপুরে প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলক।
মেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমত উল্লাহ, আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হোসনে আর বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি শাহীদ উল মুনীর, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, ই – কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই- ক্যাব) এর সভাপতি শমী কায়সার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সার্ভিস এলায়েন্স (ডব্লিউ আইটি এস এ) এর মহাসচিব ড. জেমস জিম পয়সন্ট।
অনুষ্ঠানে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আর এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। দেশের সকল স্থানে ইন্টারনেট ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা মহাকাশ বিশ্বে প্রবেশ করেছি। আমরা এখন ফাইভজি, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লক চেইন, এসব নিয়ে কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ওয়ালটন আমাদের পণ্য, দেশীয় পণ্য। ওয়ালটন দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বাহিরের দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। দেশে বছরে ৪ কোটি মোবাইল আমদানি করা হয়। স্যামসাং দেশে ২ বছরে ১৫ লাখ মোবাইল তৈরি করেছে। তারা ২০২০ সালের পর আর ফোন আমদানি করবে না। তেমনি সিম্ফনিও ২০২০ সালের পর ফোন আমদানি করবে না।
মেলা সর্ম্পকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্ভাবন, আবিষ্কার ও পণ্য দেশ ও বিদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরাই আমাদের এই আয়োজনের উদ্দেশ্য। আমরা সবাইকে এখানে কারখানা স্থাপনে আহবান জানাচ্ছি। এরজন্য হাইটেক পার্কে ২০টি কোম্পানিকে ইতিমধ্যে ৯৭ একর জায়গা দেওয়া হয়েছে।
ডব্লিউ আইটি এস এ এর মহাসচিব ড. জেমস জিম পয়সন্ট বলেন, আইসিটিতে বাংলাদেশ ভাল করছে। বিশেষ করে ডিজিটাল বাংলাদেশের নতুন সদস্য হিসেবে তাদের সাফল্য উল্লেখ করার মতো।
প্রসঙ্গত, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এবং ‘নাথিং ইজ ইম্পসিবল’ স্লোগানে আয়োজিত হচ্ছে এই ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড ইনোভেশন এক্সপো -২০১৯। এতে সহযোগী পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ই- কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই ক্যাব, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপি এবি), বাংলাদেশ ওম্যান ইন টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।
এবারের আয়োজনে থাকছে ৮টি জোনে প্রায় দুই শতাধিক স্টল ও প্যাভিলিয়ন। অংশ গ্রহণ করবে প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য। এতে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন সবাই। মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরনের সেমিনার ও প্রদর্শনী।