কয়েক মাস আগেই মেটাভার্স ধারণার আগুনে ঘি ঢেলেছিলেন ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। এবার সেই আগুনে আরো উত্তাপ ছড়িয়ে বিশ্বের দ্রুততম এআই সুপার কম্পিউটার তৈরির দাবি করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা।
রিসার্চ সুপারক্লাস্টার বা আরএসসি নামের এই সুপারকম্পিউটার প্রতিষ্ঠানটির এআই গবেষকদের “নতুন এবং আরও ভাল” কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল তৈরি করতে সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এটি “ট্রিলিয়ন সংখ্যক উদাহরণ থেকে শিখতে, একইসঙ্গে শত শত বিভিন্ন ভাষায় কাজ করতে এবং লেখা, ছবি এবং ভিডিও একসঙ্গে বিশ্লেষণ করতে পারবে বলেই দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বলা হচ্ছে, অনেক মানুষের সমাবেশে মুখে বলামাত্রই মৌখিক ভাষা অনুবাদের কাজ করতে পারে এআই সুপার কম্পিউটারটি। এর ফলে, কোনো গবেষণা প্রকল্পে বিভিন্ন ভাষাভাষী গবেষকদের মধ্যে সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে এআর গেম খেলতে পারে।
এ নিয়ে কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের এআই সেন্টারের সহ-পরিচালক ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক তুওমাস স্যান্ডহোম মনে করেন, মেটা যেভাবে এই সুপারকম্পিউটারের ক্ষমতা প্রকাশ করছে সেটি প্রচলিত এবং অপেক্ষাকৃত ক্ষমতাসম্পন্ন সুপারকম্পিউটারের ক্ষমতা পরিমাপ পদ্ধতির চেয়ে আলাদা। এই সিস্টেমটি নির্ভর করে এর গ্রাফিক্স-প্রসেসিং চিপের কার্যকারিতার ওপর এবং এর ফলে ছবি, লেখা ও ভাষা বোঝার ক্ষেত্রে এটি বাড়তি সুবিধা পাবে।
এটি তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকে। ২০২০ সালের গোড়ার দিকে এতে নতুন মাত্রা যোগ হয়। আর চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে এর নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।