ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল এখন সব জায়গায় পৌঁছে গেছে। আর এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণেই আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে এসেছি। দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌঁছে গেছে। তিনি নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে নবীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতি তোমাদের মতো মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৪-এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করেছে। বিশ্বসেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযাগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে, যা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে প্রায় দুই হাজার নবীন শিক্ষার্থী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার আবু হাসান নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের কাছে উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিন এবং পরিচালক পাঠ দানের জন্য শিক্ষার্থীদের বরণ করেন।