বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে জীবনের ৫১তম বসন্তে পা রাখলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭১ সালের এই দিনেই (মঙ্গলবার,২৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সংসার আলো ছড়িয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলেও প্রথম প্রহর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জন্মদিনের শুভ কামনায় সিক্ত হচ্ছেন। ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজ ট্যাগ করে ডিজিটালি শুভেচ্ছা বার্তা দিচ্ছেন শুভানুধ্যায়ীরা।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টা বাজতেই ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উপদেষ্টাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আর সেই স্ট্যাটাসগুলো তাদের অনুসারীর মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। ডিজিটাল পোস্টার আর হ্যাশট্যাগে শুভাশীষ শেয়ার করছেন একজন অপরের সঙ্গে।
দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি না রাখলেও ছাত্রলীগ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে খাদ্য, শিক্ষা উপকরণ ও করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করবে বলে জানিয়েছে। এর বাইরেও সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে আওয়ামী যুবলীগ। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা/মহানগর/উপজেলা/থানা/পৌরসভা/ইউনিয়নে মিলাদ ও দোয়া এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করার কথা।
এদিকে বিকেলে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সজীব ওয়াজেদ জয়’র শুভ জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও তাঁর সু-স্বাস্থ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন করেছে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই অবরুদ্ধ ঢাকায় জন্ম হয় তার। স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিজয়ের পর নানা শেখ মুজিবুর রহমান তার নাম রাখেন ‘জয়’।
লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। অবশ্য এর আগেই ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন বাংলাদেশের দেশের আইসিটি খাতের তড়িৎ উন্নতির এই রূপকার।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। এরপর ২০১৪ সালে নিজের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।