বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমানে জৈব জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে পারমানবিক চুল্লির ব্যবহার করছে অনেক দেশ। তবে এই প্রযুক্তি মারাত্মক ঝুঁকি ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব রয়েছে। তবে এই ঝুঁকি ও বিরূপ প্রভাবকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পরিকল্পনা করেছে চীন। ইতিমধ্যেই প্রথম কোনো দেশ হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে ‘পরিবেশবান্ধব’ নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর তৈরির এই পরিকল্পনা করেছে চীন। খবর এনগ্যাজেট।
আগামী আগস্টেই এই রিয়্যাক্টরের প্রথম প্রোটোটাইপ তৈরি হবে এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে পরিপূর্ণ উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
চীন তাদের পারমানবিক চুল্লিতে ক্ষতিকর ইউরোনিয়ামের বদলে তরল থোরিয়াম ও গলিত লবণ ব্যবহার করবে। থোরিয়াম নির্ভর চুল্লির মূল উপাদানগুলো ফ্লোরাইড লবণ হিসেবে বের হয়ে আসে এবং এর বর্জ্য থেকে যে ইউরেনিয়াম-২৩৩ আইসোটোপ পাওয়া যায়, সেটিও পরিশোধনযোগ্য বলে জানানো হয়েছে। আর চুল্লিতে ফাটল ধরলে গলিত লবণ ঠাণ্ডা হয়ে জমাট বেঁধে থোরিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর পথ বন্ধ করে দেয়।
চীন জানিয়েছে, থোরিয়াম নির্ভর চুল্লিতে পানির প্রয়োজন হয় না। ফলে মরুভূমির মতো জনশূন্য স্থানেও এটি নির্মাণ করা যাবে। এছাড়া এই ধরনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
ডিবিটেক/বিএমটি