আসছে জুলাই মাসে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে দেশে প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি। আর ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে শুধু আইসিটি খাতের জন্য থাকছে বিশেষ বরাদ্দ। এই বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ হবে ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকা। খাত সংশ্লিষ্টদের জন্য এমন সুখবর দিয়েছেন নগদ’র নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
আসন্ন বিসিএস কার্য নির্বাহী কমিটির ভোটে স্মার্ট প্যানেল থেকে অংশ নেয়া এই প্রার্থী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল লেনদেনের খোলনলচে বদলে দিয়ে মাত্র তিন বছরের মধ্যে বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হওয়া নগদ আগামীতেও সবাইকে নিয়ে বড় হবে। এজন্য শুরুতেই হালপ্রযুক্তির কৃত্রিম বুদ্ধি ব্যবহার করে ঋণ ছাড়ের ব্যবস্থাপনা যুক্ত করা হয়েছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকে।
দেশের অর্থনীতিতে দুর্বলদের সবল করতে নগদ এবং ডিজিটাল লেনদেনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার এই বিষয়গুলো তিনি তুলে ধরেছেন শনিবার রাতে গুলশানে অনুষ্ঠিত বক্কো মিটআপ ২০২৪-এ। এসময় তিনি যারা এখনো নগদ হিসাব খোলেননি তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক থেকে লেনদেন পেতে আপনার লেনদেনের হিসাবই যথেষ্ট। ডিজিটাল ব্যাংকে ঋণ সেবাটি পুরোপুরি ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অনলাইনেই সম্পন্ন হবে। এমনসব গ্রাহকসেবা দেওয়া হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে, যা শুধু অনলাইন ব্যাংকিং দিয়ে করা সম্ভব নয়। অনলাইন ব্যাংকিং প্রথাগত ব্যাংকের একটা টুল। আর ডিজিটাল ব্যাংক অত্যাধুনিক একটা ব্যবস্থা।
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের একাধিক মেয়াদের সভাপতি এলিট জানিয়েছেন, নগদ ওয়ালেট ব্যবহার করে এখন দেশের ৯ কোটি গ্রাহক ১৮ কোটি লেনদেন করেছেন। এই লেনদেনে সাশ্রয় হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। ৪০ শতাংশ গ্রাহক প্রবৃদ্ধি নিয়ে তাদের লেনদেনের খরচ কমেছে ৬০ শতাংশ। এবার তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য চমক থাকছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকে।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম নিজে ব্যবসার জন্য ঋণ নিতে যাই তখন ব্যাংক আমাকে ঋণ দেয়নি। কারণ জামানত ছিল না। যেহেতু পরিবারের কারও সহযোগিতা নিইনি, তাই ব্যাংক থেকে ঋণ না পাওয়া একজন তরুণ উদ্যোক্তার জন্য যে কী ধরনের বাধা তৈরি হতে পারে সে বিষয়টি আমার জানা। এরপর আমি নগদে যখন ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে কাজ শুরু করি, তখন আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল কীভাবে জামানত ছাড়াই উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করা যায়। এখন আমরা একটা জায়গায় পৌঁছেছি। যেখানে আইসিটি খাতের একজন তরুণ উদ্যোক্তা তার নগদ ওয়ালেটের ট্রানজেকশন, তার নিয়মিত পেমেন্টসহ যাবতীয় লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে জামানত ছাড়াই ঋণ দিতে পারবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। আশা করি জুলাইয়ে যখন ডিজিটাল ব্যাংক চালু হবে, তখন থেকেই আইসিটি খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এই দারুণ সুযোগ তৈরি হবে।’