বাংলাদেশের জন্য ‘ফিউচার অব সিকিউরিটি রোডম্যাপ’ তৈরি করেছে ভিসা। নতুন প্রণীত পরিকল্পনার আওতাধীন রয়েছে সকল স্থানীয় ভিসা ক্রেডেনশিয়াল ব্যাংক এর ইএমভি থ্রিডিএস প্রটোকল। পাশাপাশি, মোবাইল লেনদেনের ক্ষেত্রে ইন-অ্যাপ টোকেনাইজেশন ও পেমেন্ট সিকিউরিটি প্রসঙ্গে ভিসা মার্চেন্টদেরকে উৎসাহিত করা।
এই টোকেনাইজেশন এর ফলে মার্চেন্টরা আরো সুরক্ষিত উপায়ে গ্রাহকের পেমেন্ট ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে বলে দাবি করছে ভিসা কর্তৃপক্ষ।
বলা হচ্ছে, সামগ্রিক লেনদেন ব্যবস্থাকে নির্ভরযোগ্য করে তুলতে এই রোডম্যাপের আওতায় এটিএম ইএমভি মাইগ্রেশন সুবিধা রয়েছে। একইসাথে গ্রাহকদের হাতে অধিকতর নিয়ন্ত্রণ তুলে দিতে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল টাইম ফ্রড মনিটরিং টুল।
ভিসা ফিউচার অব সিকিউরিটি রোডম্যাপ (‘দ্য রোডম্যাপ’) প্রণয়ন প্রসঙ্গে ভিসা’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের হেড অব রিস্ক জো কানিংহ্যাম বলেছেন,‘বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের অর্থনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরিতে ভিসা প্রণীত ফিউচার অব সিকিউরিটি রোডম্যাপ এক কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। আমরা আমাদের সকল অংশীদারদেরকে ধন্যবাদ জানাই, আমাদের এক ও অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশকে একটি উন্নততর ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হতে সাহায্য করবে।’
রোডম্যাপ প্রণয়ন প্রসঙ্গে ভিসা ইন্ডিয়া ও সাউথ এশিয়ার গ্রুপ কান্ট্রি ম্যানেজার টিআর রামাচন্দ্রন জানিয়েছেন, ইএমভি থ্রি-ডি সিকিউর এবং টোকেনাইজেশনের মতো একই প্রযুক্তিগত গতিময়তায় বিকাশ ঘটাতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ভিসার রোডম্যাপ সিকিউরিটি বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এই রোডম্যাপের মূল বক্তব্যের মধ্যে রয়েছে – মূল ইকোসিস্টেম থেকে লেনদেন সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য মুছে ফেলা ও চুরি যাওয়া হিসাবের তথ্যকে বাতিল করা; নিরাপত্তাবলয় তৈরির মাধ্যমে হিসাব সংক্রান্ত ও ব্যক্তিগত তথ্যকে রক্ষা;যেকোনো লেনদেনের পূর্বে তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য লেনদেনগুলো স্বীকৃতি দেওয়া ও সম্ভাব্য জালিয়াতি নিরোধ এবং গ্রাহক ও মার্চেন্টদেরকে পূর্ণ ক্ষমতায়নের মাধ্যমে নিরাপদ লেনদেনে তাদের সক্রিয় ভূমিকা তৈরি করা।