মোবাইল আর্থিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ ঘোষিত অফার নিয়ে এবার জমি জিতেছেন নড়াইলের সোনার দোকানের কর্মী দেবাশিষ ভৌমিক ও তার দল। এই দলে আরও ছিলেন পিন্টু ভৌমিক ও সোমা ভৌমিক। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রবাসী পল্লী গ্রুপের প্রজেক্টে এই জমি হস্তান্তর করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নড়াইল থেকে নগদের ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সোলায়মানের সাথে হেলিকপ্টারে উড়ে এসে এই জমি গ্রহণ করেন দেবাশিষেরা। দেবাশিষ ও পিন্টু পেশায় স্বর্ণের দোকানের শ্রমিক। আর সোমা ভৌমিক গৃহিণী। দলনেতা দেবাশিষ নগদ ওয়ালেট ব্যবহার করে মাত্র ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ করার ফলে দল গঠনের জন্য যোগ্য হন। এরপর তিনি পিন্টু ও তার স্ত্রী সোমাকে নিয়ে দল গঠন করেন। তিনজনই ক্যাম্পেইন জুড়ে নিয়মিত লেনদেন করেছেন।
ঢাকা থেকে বিশেষ ভাড়া করা হেলিকপ্টারে করে নড়াইল থেকে পূর্বাচলে আনা হয় জমি বিজয়ী তিনজন এবং পিন্টুর কন্যা পূর্ণতা ভৌমিককে। হেলিকপ্টারে উঠতে পেরেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনজন। এরপর প্রবাসী পল্লীতে তাদের সাথে গল্প করে তাদেরকে নির্ধারিত প্লটে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেখানে জমি পাওয়ার খবরে আনন্দ অশ্রুতে ভেঙে পড়েন তিন বিজয়ী।
দলনেতা দেবাশিষ বলেন, ‘আমি ভিডিওতে দেখেছিলাম যে, নগদে লেনদেন করে ও দল গঠন করে জমি জেতা সম্ভব। ততোটা বিশ্বাস করিনি। তবে যেহেতু আমি নগদ গ্রাহক, তাই শখের বসেই দল করেছি। এখন মনে হচ্ছে স্রষ্টা নিজে নগদকে দিয়ে আমাদের স্বপ্নপূরণ করেছেন।’
জমি পাওয়ার খবরে চোখের পানিতে ভেসে সোমা ভৌমিক বলছিলেন, ‘পুরো দিনটাই স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আমরা জীবনে কখনো হেলিকপ্টারে উঠিনি। আজ সেটাকেই পুরস্কার মনে হচ্ছিল। এরপর রিয়াদ ভাইয়ের মতো তারকাকে দেখলাম। আর শেষে জমি পেলাম। মনে হচ্ছে, স্বপ্ন দেখছি।’
জমি হস্তান্তর করার পর আবেগী হয়ে পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তিনি বলেন, ‘আমি নগদের হয়ে গত বছর একজন মধ্যবিত্ত মানুষের হাতে গাড়ি তুলে দিয়েছিলাম, লোকটার জীবন বদলে গেছে। এবার এই পরিবারটার হাতে জমি দিতে পারলাম। এদেরও জীবন বদলে গেল। আমার মনে হয়, ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতানোর চেয়ে অনেক বড় আনন্দ মানুষের জীবন বদলের সাক্ষী হতে পারা। নগদকে ধন্যবাদ, আমাকে এই সুযোগটা দেওয়ার জন্য।’