২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার পর মাত্র ১.৫ শতাংশ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ছিল। এখন কিন্তু আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশে টার্গেট ছিল ২০ শতাংশ। এর মধ্যে ১৭ শতাংশে যেতে পেরেছি। সরকার কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতের হার ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে ২০৪০ সালের মধ্যে মূল জনসংখ্যার ৫০ শতাংশে কারিগরি শিক্ষায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ফেনীতে ‘স্মার্ট টেকনিক্যাল এডুকেশন, স্মার্ট ইয়ুথ অ্যান্ড স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনাররে এ তথ্য জানানো হয়। কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের আয়োজনে একাডেমিক ভবনের হলরুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইন্সট্রাক্টর মো. নকিবুল হাসান।
ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইসরাত নুসরাত সিদ্দিকা, ফেনী জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফি উল্লাহ।
ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের চিফ ইনস্ট্রাক্টর (টেক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান, হাতের কাজ কিন্তু চলে গেছে। সকল ধরনের ভাতা, বৃত্তি-উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সকল ভাতা অনলাইনে চলে যাচ্ছে, চাকরি আবেদন এবং সমস্ত ব্যাংকের কাজ অনলাইন, খাজনা, পৌর বিল, বিদ্যুৎ বিল প্রিপেইড মিটারসহ এমন কোনো দফতর নেই যাদের অনলাইন সুবিধা নেই। সরকারি-বেসরকারি সকল দফতরেই এখন অনলাইন সুবিধা আছে, ডিজিটালি পরিচালিত হচ্ছে।