রাত পোহালেই ঈদ। কুরবানির ঈদ। ঈদের নামাজের পর সৃষ্টকর্তার সন্তুষ্টির আশায় পশু জবেহ করে মাংস বিলিয়ে দেয়াকে কেন্দ্র করেই চলে এই ঈদের সব আয়োজন। অতিমারির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই উম্মাহর সম্মিলন ঘটাতে এখন তাই অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ‘অনলাইন’।
সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে দেশজুড়ে কুরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় শেকে শুরু করে কুরবানি শেষে মাংস বন্টনের কার্যক্রম পরিচালিত করতে জাতীয়ভাবে খোলা হয়েছে ডিজিটাল হাট ডট নেট। প্রথম দিন থেকেই জমে ওঠে ডিজিটাল কোরবানির এই হাট। সোমবার পর্যন্ত এই হাটের ৮০ শতাংশ বিক্রিত কোরবানির পশুই ডেলিভারি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে হাট পরিচালনাকারী সংগঠন ই-ক্যাব।
মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ডিজিটাল হাটে পশু বিক্রির প্রতিবেদন বলছে, ১৯ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫০৭টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে এই হাট থেকে। এর মধ্যে গুরু ও মহিষ বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯১০টি। ছাগল ও ভেড়া বিক্রি হয়েছে ৭৩ হাজার ৫৯৭টি। সব মিলিয়ে এই হাটে পশু বিক্রি হয়েছে মোট ২২শ ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৮ টাকার পশু।
অপরদিকে শুধু মঙ্গলবার এই হাট থেকে বিক্রি হয়েছে মোট ১৫৪৪ টি পশু। ১৪৩৭ টি গরু ও মহিষ, ১০৭ টি ছাগল ও ভেড়া, স্লটার বুকিং হয়েছ ২৬৪টি পশু। স্ক্রো সার্ভিস এর মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে ২৩ টি।
সোমবারে ডিজিটাল হাট থেকে মোট মোট ১৫৪৪ টি পশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৬ টি গরু ও মহিষ এবং ৮১ হাজার ৮২২ টি ছাগল ও ভেড়া। মোট টাকা: ২৪শ ২৪ কোটি ৯ লাখ ৩৬হাজার ২৫৪ টাকা।
শুরুতে ২৪১টি ডিজিটাল কোরবানির হাট সংযুক্ত করে গত ১৩ জুলাই জাতীয় পর্যায়ে এই হাটের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। উদ্বোধনের পরপরই ৩ মিনিটে এসক্রো সার্ভিসে একটি সাদা-কালো গরু কিনেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এরপর এই হাটে যুক্ত হয় মোট ৬৬৪টি হাট।
হাট কর্তপক্ষ জানিয়েছে, এরইমধ্যে ডিজিটাল হাটে বিক্রয়কৃত ৮০ ভাগ পশুই গতকাল পর্যন্ত ডেলিভারী হয়ে গেছে। বাকীগুলো আজকের মধ্যে ডেলিভারী হয়ে যাবে। পাশাপাশি হাটে অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজন ক্রেতার টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন, এটুআই, একশপ ও ই-ক্যাবের উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে এই হাট। এরই মধ্যে এই হাটে ভিজিট করেছেন নয় লাখ ৪৫ হাজারের বেশি দর্শনার্থী।