গত বছর থেকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে অনুমোদন নিয়ে থ্রিজি সাইট (টাওয়ার) বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করে বেসরকারি তিন টেলিকম অপারেটর। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একে এক তৃতীয় প্রজন্মের টেলিকম সেবা থ্রিজি বন্ধ করছে অপারেটরগুলো। গত বছরের জুলাই মাসে এই নেটওয়ার্ক বন্ধ করার কথা জানিয়েছিলো শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোন। তখন থেকে ৩ মাস পর ৩৫ জেলায় এই সেবা বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিলো। অবশ্য বিটিআরসিতে সবার আগে থ্রিজি সেবা বন্ধের জন্য আবেদন করেছিলো রবি।
তবে সবার আগে দেশের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে গত ৫মে থেকে দেশব্যাপী থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দিয়েছে বাংলালিংক। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞিপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কৌশলগত পদক্ষেপ ‘সকলের জন্য সেরা ফোর-জি’ নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে বাংলালিংক-এর একনিষ্ঠ প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। গ্রাহক-কেন্দ্রিক অপারেটর হিসেবে, বাংলালিংক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উন্নত ফোর-জি সেবা গ্রহণ ও ২০২১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে থ্রি-জি সেবা বন্ধ করার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
এ নিয়ে বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, “ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হল গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ ও উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করা। ফোর-জি-এর জন্য বরাদ্দকৃত তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স আরও বাড়িয়ে, আমরা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব। এই সফল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক হিসাবে, আমরা আমাদের গ্রাহকদের ফোর-জি অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে উচ্চগতি সম্পন্ন ও আধুনিক অবকাঠামো এবং সর্বোপরি অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেবাগুলির সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর দিকে বাংলালিংক-এর একনিষ্ঠ যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট আছি।”